
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় শীতের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই নিচের দিকে নামছে। জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে শিগগিরই নামবে শৈত্যপ্রবাহ।
গত তিনদিন মধ্যরাত থেকে দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জেলা। ভোর থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে চলেছে কুয়াশার ঘনত্ব। সেই সাথে আছে দক্ষিণ থেকে নেমে আসা হিম শীতল ঠান্ডা বাতাস।
সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলচল তুলনামূলক কম। ঘণ কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
দিনমজুর আব্বাস মিয়া বলেন, অগ্রহায়ণেই যদি এত শীত পড়ে, তাহলে পৌষ আর মাঘ মাসে যে কি হবে তা আল্লাহ জানেন। আমরা তো কোনো কাজ করতে পারব না। সংসার চালাব কীভাবে, সেই চিন্তা হচ্ছে।
রিকশাচালক জয়নাল বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে রাস্তায় যাত্রী কম। খুব চিন্তায় আছি। শুনছি শীত আরও বেশি পড়বে তখন কি যে হবে।
১১ ডিসেম্বর, বুধবার সকাল ৬ টায় ও ৯ টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলাত তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি বছর একটু আগেই শীত পড়া শুরু করে এ জেলায়। এখন থেকে প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা আরও কমবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহও শুরু হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আগামী আরো দু একদিন এরকম থাকতে পারে। কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবার সম্ভাবনা আছে। তখন তাপমাত্রা আরও কমবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড কিরা হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, যা ছিল গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বিবার্তা/সাঈদ/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]