
কুষ্টিয়ায় দায়িত্বরত অবস্থায় নাজমুল ইসলাম নামের এক ট্রাফিক পুলিশ দুই নারীর হামলার শিকার হয়েছেন। পরে হামলাকারী ওই দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
৯ ডিসেম্বর, সোমবার বেলা সাড়ে ১১ দিকে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন মসজিদের সামনের মোড়ে (আরসিআরসি সড়ক) এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, কোর্ট স্টেশন মসজিদের সামনের মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল নাজমুল হাসান। দুই নারী শিশুকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে স্টেশনে ট্রেনের সিগন্যাল পড়ে। এ সময় সড়কে অতিরিক্ত যানজট থাকায় রিকশায় থাকা দুই নারীর রিকশা আটকে দেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কনস্টেবল। তবে তারা ট্রেনের সিগন্যাল উপেক্ষা করে জোরপূর্বক যাওয়ার চেষ্টা করলে বাঁধা দেয় ওই পুলিশ। তখন তর্ক-বিতর্ক শুরু হয় তাদের মধ্যে।
স্থানীয় একটি ফার্মেসির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই দুই নারীর সাথে থাকা শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ট্রাফিক পুলিশের দিকে তেড়ে এসে প্রথমে একজন কিল ঘুসি দেয়। এরপর আরেকজন নারী ট্রাফিক পুলিশের মুখে জুতা দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা তাদে নিবৃত করলে ওই দুই নারী চলে যায়। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. (ওসি) শিহাবুর রহমান শিয়াব বলেন, ট্রেনের সিগন্যাল পড়েছিল, তবে ওই দুই নারী সিগন্যাল উপেক্ষা করে জোরপূর্বক যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে ট্রফিক পুলিশ নাজমুল হাসান বাধা দিলে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ওই দুই নারী পথচারী ঘুরে এসে নাজমুলকে ধাক্কা দেয় এবং জুতা দিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় মোহনা ইসলাম (৪৪) ও শানজিদা আক্তার শান্তা (৩৯) নামে ওই দুই নারীকে রাতে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাধা দেয়া ও দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আটক মোহনা ইসলাম শহরের থানাপাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী ও শানজিদা আক্তার শান্তা হাউজিং কদমতলা এলাকার মো. রিপন হোসেনের স্ত্রী।
বিবার্তা/শরীফুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]