
দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর ৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে দৌলতপুরকে শত্রুমুক্ত করে থানা চত্বরে বিজয় পতাকা উড়ানোর মধ্য দিয়ে মুক্তিকামী বীর সূর্য সন্তানেরা দৌলতপুরকে হানাদারমুক্ত করেন।
দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকসেনাদের সম্মুখ যুদ্ধসহ ছোট-বড় ১৬টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
এ সকল যুদ্ধে ৩৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকশ নারী-পুরুষ শহিদ হন। ৮ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার আল্লারদর্গায় পাক সেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে শহিদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাক সেনারা। এরপর দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন ৮ নম্বর সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার মেজর নুরুন্নবী।
দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রতিবছর দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও দৌলতপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও এ বছর নেই কোন কর্মসূচি। তবে স্থানীয়ভাবে রফিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ রফিকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
দৌলতপুর মুক্ত দিবসের বিষয়ে দৌলতপুর ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, ৮ ডিসেম্বর দৌলতপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি নেই। তবে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দিবসটি উপলক্ষ্যে ঘরোয়াভাবে আলোচনা সভা করবো।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, দৌলতপুর মুক্ত দিবসে উপজেলা প্রশাসনের কোনো আয়োজন নেই। তবে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পালন করা হবে।
বিবার্তা/শরীফুল/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]