
কুষ্টিয়ায় ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৪তম তিরোধান দিবসকে ঘিরে তিন দিনের লালন উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হচ্ছে ১৯ অক্টোবর (শনিবার)।
রাতে লালন অ্যাকাডেমির আয়োজনে আলোচনা সভা ও লালন সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এ আয়োজনের। এরই মধ্যে লালন ভক্ত বাউল সাধুরা লালন আখড়া বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন। তাদের মাঝে বেজে উঠেছে বিরহের সুর।
মরমি সাধক ফকির লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবসের তিন দিনের লালন উৎসবকে ঘিরে আখড়াবাড়ি পরিণত হয়েছিল বাউল সাধু গুরু ও ভক্তদের মিলন মেলায়। আখড়া বাড়ির রীতি অনুযায়ী ১৮ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেলে পূর্ণসেবা তথা মধ্যাহ্ন ভোজের পরপরই বাউলরা আখড়া বাড়ি ছাড়তে শুরু করেন। তবে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে।
সাঁইজির মানবপ্রেম, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জাতিভেদ ভোলার অঙ্গীকার নিয়েই বাউল-সাধুরা আখড়া বাড়ি ছাড়ছেন। সাঁইজির ধাম ছাড়তে মন না চাইলেও তবুও ফিরতে হবে নিজ নিজ ধামে। সাঁইজির ধামে এসে তারা কি পেলেন আর কি পেলেন না তা তাদের আত্মসাধনার ফল। যে সাধনার প্রাপ্তিতে মিলবে স্রষ্টার সান্নিধ্য। এমনটি জানালেন প্রবীণ সাধু ফকির মহরম শাহ্।
বিদায় বেলায় বাউল-সাধুদের কণ্ঠে ছিল বিষাদের সুর, চোখে ছিল বেদনা অশ্রু। তবে এখন থেকেই ফাল্গুনের দোল উৎসবের প্রহর গুণতে থাকবেন তারা। এমন আশার বাসনা জানালেন নবীন ফকির।
ফকির লালন সহজ ভাষায় মানব জীবনের গভীর তত্ত্ব কথা তুলে ধরেছেন যা, মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে বলে জানালে আখড়াবাড়িতে আসা লালন গবেষক ড. আজাদুর রহমান। তিনি আরো বলেন, লালনের গানের মধ্যেই সমস্ত কথাবার্তা যা কিছু দর্শন, যা কিছু বক্তব্য যা কিছু আহ্বান সবকিছুই তার গানের ভিতরে আছে।
এবারের তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠানে বাউল সাধু, গুরু ও সাধারণ মানুষের বিপুল উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে শুক্রবার দর্শনার্থীদের উপস্থিতির মাত্রা ছিল আরও বেশি।
বিবার্তা/শরীফুল/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]