
ছয় মাসের একটা এলএমএএফ কোর্স করেই অপূর্ব মন্ডল অপু নামের আগে লিখতেন ডাক্তার। দেখতেন রোগী, দিতেন ব্যবস্থাপত্র। তার ড্রাগ লাইসেন্স, ফার্মাসিস্ট ও আরএমপি সনদ না থাকলেও অ্যান্টিবায়োটিক লেখার পাশাপাশি নিজের চেম্বার থেকেই রোগীদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতেন ঔষধ।
এমন অভিযোগ উঠেছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের চিংগড়ী গ্রামের নীরোদ মন্ডলের ছেলে ও কথিত চিকিৎসক অপূর্ব মন্ডল অপুর বিরুদ্ধে।
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে অপূর্ব মন্ডলের চেম্বারে অভিযান পরিচালনা করেন।
সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক অপূর্ব মন্ডলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় প্রেসক্রিপশন লিখবে না বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মুচলেকাও দেন কথিত ঐ চিকিৎসক।অভিযানে গোপালগঞ্জের ড্রাগ সুপার বিথীকা রানী মন্ডল, টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ড্রাগ সুপার বিথীকা রানী মন্ডল জানান, অপূর্ব মন্ডল অপু নামের ওই চিকিৎসক ৬ মাসের একটা কোর্স করেই নামের আগে ডাক্তার পদবী লিখেছিলেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্যাড ছাপিয়ে নামের আগে ডাক্তার লিখেছেন। রোগীদের প্রেসক্রিপশন করে দিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন।
তিনি আরো জানান, অপূর্ব অবৈধভাবে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করতেন। এছাড়া তার চেম্বারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ পাওয়া গেছে। এ কারণে ঔষধ ও কসমেটিকস আইনে তাকে ভ্রাম্যমান আদালত ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বিবার্তা/শান্ত/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]