রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আবদুল লতিফ হল থেকে উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর (২২) মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। পুলিশের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে দুই ধরনের মন্তব্য করায় প্রকৃত ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাই সবার দৃষ্টি এখন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের দিকে।
বৃহস্পতিবার সকালে হলের ডায়নিংয়ের পাশের একটি নালা থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিপুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি হলের ২৫৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। লিপুর গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার মুকিমপুর গ্রামে। তার বাবার নাম বদর উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লিপুর লাশের পিঠে আঘাতের আঁচড় ছিল। মাথাতেও জখম ছিল। এছাড়া নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তার লাশ উদ্ধারের পর জায়গাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তার কক্ষসহ পাশের কক্ষগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আর লিপুর রুমমেটকে একটি কক্ষে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
লিপুর লাশ উদ্ধারের পর রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আমীর জাফর গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তার রুমমেটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। সেটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান জানান, এক কর্মচারী সকালে ঝাড়ু দিতে গিয়ে হলের পেছনের দিকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ গিয়ে মোতালেব হোসেন লিপুর লাশ উদ্ধার করে। লাশের ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিবার্তা/রিমন/প্লাবন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]