
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই সাথে কুয়াশা আর হিমালয় থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের জনজীবন।
একদিনের ব্যবধানে জেলায় তাপমাত্রা কমেছে আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র শীতে বেড়েছে ঠাণ্ডা জনিত রোগ বালাই।
বুধবার, ১৭ জানুয়ারি সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগার। সে সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ।
সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ।
গতকাল মাঙ্গলবার সকাল ছয়টায় ও নয়টায় যথাক্রমে ১২ দশমিক ৮ ও ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার তাপমাত্রা কমেছে আড়াই ডিগ্রিরও বেশি।
সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরিয়ে গেলেও সূর্যের দেখা মিলছেনা বেশিরভাগ দিন। হিমেল বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে কয়েকগুন। ঘন কুয়াশা থাকায় স্বাভাবিক জনজীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সড়কে কমেছে মানুষের চলাচল। তবে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে জীবন জীবীকার তাগিদে কাজের সন্ধানে ছুটছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
ফেরি করে চা বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, শীতের জন্য ভোর সকালে বের হতে কষ্ট হচ্ছে। ঠাণ্ডা বাতাসে চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু যত শীতই পড়ুক পেটের তাগিদে বের হতেই হবে। কিছু করার নেই।
তীব্র শীতে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভি[ বাড়ছে। শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিবার্তা/ আসিম/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]