ঢাকা জেলার দোহারের দিতপুর গ্রামে দুর্বৃত্তরা বাহির থেকে তালা মেরে ঘরের চারিদিক আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে একই পরিবারের দুই জন দগ্ধ ও তিনজন ধোয়ায় অসুস্থ হয়েছে। দগ্ধ ও আহতদের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের অবজারভেশনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দগ্ধরা হলেন জুলহাস (৫৩), ৩ শতাংশ দগ্ধ। তার স্ত্রী ফাহিমা আক্তার (৩৫), ৪ শতাংশ দগ্ধ। তাবাসসুম (১০), জান্নাত আক্তার (১৩ ), মোঃ জুনায়েদ (৮) ধোয়ায় অসুস্থ হয়েছে।

১৫ জানুয়ারি, সোমবার মধ্য রাতে দুর্বৃত্তরা এ আগুনের ঘটনাটি ঘটনায়। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে ১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আহতদের নিয়ে আসা হয়।

আহতদের শেখ হাসিনা বার্নে নিয়ে আসা দগ্ধ জুলহাসের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, গতরাতে জুলহাসের পরিবারসহ বেড়াতে আসা আমার এক ভাতিজি ঘুমিয়ে ছিল। মধ্যরাত তিনটার দিকে কে বা কাহারা আমাদের ঘরের চারপাশে আগুন ধরে দেয়। পরে এরা বের হওয়ার চেষ্টা করে দরজা ধাক্কা দিলেও তারা খুলতে না পারায় বাথরুমের ভিতরে গিয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরাসহ আমরা বাথরুমে দেয়াল ভেঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে আহতদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই জুলহাস আওয়ামী লীগ করে। নির্বাচনের সময় লোকজনকে খানা-দানী করান, মধ্যরাতে তারা কেন ঘরে আগুন দেয় আমরা বলতে পারি না। এলাকায় আমাদের কোনো শত্রু নেই বললেই চলে।

জুলহাসের স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার জানান, বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের দূর সম্পর্কে আত্মীয় সে আমাদের বাসায় ছিল। সে মাদকাসক্ত আমাদের জানা ছিল না। তিন চারদিন আগে সে বাসা থেকে চলে যায়। আমাদের কিছুটা সন্দেহ হয়। সে এই আগুনের ঘটনা ঘটাতে পারে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ড. মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা দোহার থেকে আগুনে আহত অবস্থায় পাঁচজন বার্ন ইউনিটে এসেছে। চার জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জুলহাস নামে একজনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও তিন শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তার ইনহিলেশন বার্ন রয়েছে।

বিবার্তা/বুলবুল/এমজে