নরসিংদীর মেঘনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:২৬
নরসিংদীর মেঘনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন
নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নিয়ম নীতির কোনো তোয়াক্কা না করেই মেঘনা নদীতে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে করে নদীর উভয় তীরের মানুষের ফসলি জমিসহ ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে পাড়াতলি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের মানুষ।


অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলি ইউনিয়নের কাতলারচর মৌজার মেঘনা নদীর তীরে একটি বালু মহল রয়েছে। এ বালু মহলটি এলাকার কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ীর নিকট ইজারা দেয়া হয়েছে। ইজারাদারের যোগসাজশে স্থানীয় বালু উত্তোলনকারীদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট বানিয়ে কাতলারচর মৌজা থেকে আনুমানিক দেড়-দুই কিলোমিটার দূরে চাঁনপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর ও রায়পুরা ইউনিয়নের সাহারখোলা এলাকা থেকে চক্রটি নির্বিচারে চুম্বক ড্রেজারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করছে।


সরকারের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতির জন্য চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর রায়পুরা উপজেলার কাতলারচর মৌজায় বালু উত্তোলনের ইজারার কার্যাদেশ প্রদান করেন নরসিংদী জেলা প্রশাসন। কার্যাদেশে চুম্বক ড্রেজারের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কাটিং ড্রেজার ব্যবহার করে বালু উত্তোলনের স্বর্তে ইজারা পান পার্শ্ববর্তী ভৈরব উপজেলার মেসার্স মৌসুমী ড্রেজিং প্রকল্প ও নৌ-পরিবহন বালুমহল। কিন্তু জেলা প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করে নিয়মনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ চক্রটি কাতলারচর থেকে সরে গিয়ে মাঝেরচর মৌজায় অবৈধ ভাবে ১৫টির বেশি চুম্বক ড্রেজার দিয়ে রাত-দিন বালু উত্তোলন করে অবাধে বিক্রি করে যাচ্ছে।


রায়পুরার মাঝেরচর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ টিরও বেশি চুম্বক ড্রেজার ও বালুবাহী বাল্কহেড দিয়ে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে অবাধে বিক্রি করছে চক্রটি। এর ফলে মাঝেরচর, সুলতানপুর, সাহারখোলা, ছাটাবন সহ বেশকিছু গ্রামের নদীর তীরবর্তী ঘর-বাড়ি নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে।


বিষয়টি নিয়ে ইজারাদার মিন্টু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কাতলারচর মৌজায়ই বালু উত্তোলন করি। আসলে ঢেউয়ে ঢেউয়ে ড্রেজার মাঝেরচর মৌজায় চলে আসে। তাছাড়া চুম্বক ড্রেজার ছাড়া বালু উত্তোলন করা সম্ভব না। বালু উত্তোলনে করতে হলে চুম্বক ড্রেজার লাগবেই।


রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজলিন শহিদ চৌধুরী জানান, ইজারা এলাকা ব্যতীত বালু উত্তোলন করার কোনো সুযোগ নেই। এমনটা করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


তিনি আরো জানান, যে সকল শর্তে বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়েছে, সে সকল শর্ত মেনেই বালু উত্তোলন করতে হবে।


এব্যাপারে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, রায়পুরা উপজেলার কাতলারচর মৌজায় বালু উত্তোলনের ইজারা দেয়া হয়েছে। চুম্বক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। কাটিং ড্রেজার দিয়েই বালু উত্তোলন করতে হবে। চুম্বক ড্রেজার ব্যবহার করলে বালু মহলের ইজারা বাতিল করা হবে।


বিবার্তা/কামাল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com