ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া যাত্রী ছাউনির সামনে মনিরুল ইসলাম (৩৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সুজন মিয়া (২৬) নামের একজন আরোহি আহত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
১৪ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে পথচারীরা উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরুলকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং আহত সুজন মিয়াকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
নিহতকে (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী মামুন খান জানান, আজ বিকেলে আমরা দুই বন্ধু বাইক যোগে কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর একটি অনুষ্ঠান যাওয়ার পথে দ. কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া যাত্রী ছাউনির সামনে দুইজন যুবককে পড়ে থাকতে দেখি। পাশেই তাদের একটি বাইক পরেছিল। পরে আমরা তাদের উদ্ধার করে পিকআপ ভ্যানে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসলে চিকিৎসক মনিরুলকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এবং সুজন মিয়াকে ভর্তি করান।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিহতের চাচা ফিরোজ মিয়া জরুরি বিভাগের সামনে ভাতিজা মনিরুলের মরদেহ টলির উপর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, আমার ভাতিজা বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। তার ধোলাইপাড় জুরাইন এবং মাদারীপুর এলাকায় বিল্ডিং এর কাজ চলছে। তিনি সকালে বের হয়ে মাদারীপুর তার সাইটে যান। পরে মাদারীপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কেরানীগঞ্জে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাকে কোন গাড়ি আঘাত করেছে কিনা বা নিজেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে কিনা তা আমরা বলতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, নিহতের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার, বোরহান উদ্দিন থানার, কুড়ালিয়া গ্রামে। তিনি মো. শহীদ মিয়ার ছেলে। বর্তমানে ধোলাইপাড় হাই স্কুল সংলগ্ন স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই সন্তানের জনক ছিলেন তিনি এবং তার দুই স্ত্রী তিন ভাই এক বোন মধ্যে সে ছিল মেজ।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা কে জানানো হয়েছে।
বিবার্তা/বুলবুল/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]