বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘুরে দাড়াঁনোর লড়াই, প্রয়োজন সরকারি সহায়তা
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৫২
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘুরে দাড়াঁনোর লড়াই, প্রয়োজন সরকারি সহায়তা
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের পেকুয়ায়। এখানকার অনেক এলাকায় এখনো পানি না নামায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।


কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য মতে, সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে চকরিয়া ও পেকুয়াসহ জেলার ৬০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত সাড়ে ৫ লাখ মানুষ। আর পাহাড় ধস ও ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।


বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার সাড়ে ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ১৮শ একর চিংড়ি ঘের এবং ১৭শ একর মিঠাপানির মাছের ঘের বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক বিভাগের ৫৯ ও এলজিইডির ৮৯ কিলোমিটার রাস্তা, ৪৭টি ব্রিজ কালভার্টের ক্ষতি হয়েছে।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা য়ায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়র্ডের টেকপাড়া, মইয়্যদিয়া, সাগর পাড়া এখনো পানিবন্দি রয়েছে অনেক লোক। বাড়ি ঘরে বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। স্থানীয় টেকপাড়া এলাকার মো. নাছির উদ্দিনের বাড়িটি বানের জলে ভেঙ্গে পড়ায় এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে।


নাছির উদ্দিন জানান, সরকারিভাবে কোন সাহায্য পেলে তিনি বাড়িটি মেরামত করা সম্ভব। না হয় পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে।


ভেওলা মানিকচর ইউনিয়ের মাহমুদুল করিম জানান, বিগত ৬দিন যাবত রাস্তার উপর পলিথিনের ছাউনি দিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি, ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আতঙ্কে আছি, সরকারি কোন সহায়তা পায়নি বলে তিনি জানান।


জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চকরিয়া পেকুয়ার জন্য ৬শ বান্ডিল ঢেউটিন এবং গৃহনির্মাণ বাবদ ১৮ লাখ টাকা এবং গৃহনির্মাণ বাবদ আরো ৬ লাখ টাকা এবং বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।


পেকুয়া উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপজেলার প্লাবিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি চলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরিতে টিনসহ অন্যান্য সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।


এদিকে রবিবার শিলখালী ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম।


তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চকরিয়া পেকুয়ায় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে সে সাথে দুর্গত এলাকাতে এক মাসের খাবার হিসেবে ভিজিএফ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে কাজ করছে সরকার।


বিবার্তা/ফরহাদ/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com