কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জমাজমির জের ধরে এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মারধরের খবর পাওয়া গেছে। এতে দুই জন আহত হয়ে চিলমারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গতকাল সন্ধ্যা ছ’টার দিকে উপজেলা থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ি শিকারপাড়া এলাকায় মারধরের ঘটনা ঘটে। চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. হারেছুল ইসলাম ঘটনাটির মৌখিক অভিযোগের পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন ওই এলাকার মোশারফ হোসেন আকন্দ (৩৫) ও কুড়িগ্রাম ত্রিমোহনী এলাকার সাজেদুল ইসলাম(৩৫)। তিনি চিলমারীতে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য একই এলাকার হাফিজুর রহমান। তিনি লালমনিরহাট উপজেলার পাটগ্রাম থানার দহগ্রাম পুলিশ তদন্ত কমিটিতে কর্মরত। অপর দুইজন ওই এলাকার হাবিবুর রহমান ও আহসান হাবিব।
আহত মোশারফ হোসেন আকন্দ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন বিকেল এর আগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ গিয়ে তদন্ত করে চলে আসে। এরপরই পুলিশের এএসআই হাফিজুর রহমান গালাগালি করলে একপর্যায়ে অর্তকিত ভাবে আমাদের ওপর লাঠি সোঠা নিয়ে হামলা করে। এসময় আমি ও আমার বোনের জামাই সাজেদুল ইসলাম আহত হই। পরে বাড়ির লোকজন আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, হাফিজুর রহমান পুলিশের চাকরি করেন। সেই ক্ষমতা দেখিয়ে বাড়িতে আসলেই ঝামেলা করেন। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য বসতে রাজি হলেও তারা কেউ রাজি হয় না। এই ঝামেলা র্দীঘদিনের।
এদিকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, তারাই আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আমি নিজেও অসুস্থ।এলাকাবাসী সবাই জানে আজকে পুলিশ এসে তদন্ত করে গেছে। আমার মা মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। ওনার গায়েও হাত তুলেছে। ওনিও থানায় যাবে অভিযোগ দিতে।
পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, কখনই না। তারা বার বার পুলিশ নিয়ে এসেছে। আমরা একবারও আনিনি। এই বিষয় গুলো চেয়ারম্যান মেম্বাররা জানেন।
ওসি হারেছুল ইসলাম বলেন, আহতরা থানায় এসে মৌখিকভাবে বলেছে। তাদের আগে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কোনো পক্ষের অভিযোগ এখনো পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবার্তা/রাফি/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]