এক সপ্তাহ আগে ঈদের ছুটি শেষে হলেও সড়ক পথে যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় বাসমালিকেরা এমন নৈরাজ্য চালাতে পারছে।

৮ জুলাই, শনিবার সকালে সরেজমিনে রাজবাড়ীর পাংশা সরদার বাস স্টান্ড এলাকায় বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাংশা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা। যা স্বাভাবিকের থেকে ২০০ টাকা বেশি। ঈদ উপলক্ষ্যে পাংশা হতে দৌলতদিয়া ঘাটে লোকাল বাসে স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলারে স্বাভাবিকের থেকে ৫০ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে।

এদিন পাংশা সরদার বাস স্টান্ড এলাকায় প্রতিটি পরিবহন টিকিট কাউন্টারে যাত্রীর চাপ। বিশেষ করে ঢাকাগামী বাসের টিকিটের প্রচুর চাহিদা। ঢাকাগামী অধিকাংশ পরিবহনের টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে আছে। যাদের কাছে ২/১ টি টিকিট আছে তারা যাত্রী বুঝে দরদাম করছে। এ ক্ষেত্রে ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে স্বাভাবিকের থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

তবে বেশিরভাগ যাত্রী টিকিট না পেয়ে লোকাল বাসে দৌলতদিয়া ঘাটে যাচ্ছে। আবার অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাহেন্দ্রতে দৌলতদিয়া ঘাট অবধি যাচ্ছেন। তারা বলছেন ফেরি কিংবা লঞ্চে ঘাট পার হয়ে আবার লোকাল বাসে ঢাকা যাবো। এছাড়া কোন উপায় নাই।

কথা হয় বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তার সাথে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসেছিলাম। তবে গত শনিবারে ঢাকা ফিরে যাই আর রবিবার থেকে অফিস করি।বিশেষ কাজে বুধবার রাতে বাড়ি ফিরে আসি।আজ শনিবার আবার ঢাকা যাচ্ছি।বাড়ি থেকে ভেবেছিলাম পাংশা থেকে পরিবহনের টিকিট পাবো।এসে দেখলাম আগামী আরও তিন দিন অবধি কোন পরিবহনের টিকিট নাই।এর মাঝে একটা টিকিট আছে ইঞ্জিন কাভারে বললেন, জামানের টিকিট বিক্রেতা। তবে ভাড়া চাইলেন ৯০০ টাকা।এটা রীতি মতো ডাকাতি। কোন উপায় না পেয়ে মাহেন্দ্রে ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে ঘাট অবধি যাচ্ছি।ঘাট পার হয়ে অন্য গাড়িতে ঢাকা যাবো।

এক মহিলা যাত্রী বলেন, প্রতিটি উৎসব এলেই বেপরোয়া হয়ে উঠে মালিকেরা। বিভিন্ন অজুহাতে আদায় করে অতিরিক্ত ভাড়া।যা অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। যাদের দেখার কথা তারাই চুপচাপ বসে আছে।

পাংশায় রাবেয়া পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা বলেন, আমাদের প্রতিটি ট্রিপের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে আছে। ভাড়া স্বাভাবিকের থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে। কারণ ঢাকা থেকে অর্ধেকের ও কম যাত্রী নিয়ে ফিরছে প্রতিটা বাস। তবে আগামী সোমবার থেকে স্বাভাবিক ভাড়ায় নেয়া হবে যাত্রীদের কাছ থেকে।

বিবার্তা/মিঠুন/সউদ