ভোলার লালমোহনে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে যাতায়াতের প্রধান সড়কের চতলা খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির দু পাশের রেলিং ভেঙে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর আগেই। ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে গিয়ে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে।
ইট ও ঢালাই খসে পড়ে ভেঙে যাওয়া ব্রিজের রডের ফাঁক দিয়ে নিচে খালের পানি দেখা যাচ্ছে। ব্রিজটি এখন জন সাধারণের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঘটছে প্রতিনিয়তই ছোট বড় দুর্ঘটনা। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন অনেকে।
স্থানীয়রা ব্রিজটির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য গাছ, কাঠ ও তক্তা দিয়ে জোড়া তালির মাধ্যমে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে কাঠ ও তক্তা ভেঙ্গে গেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের চালকদের।
ভাঙা ব্রিজটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিকশা, ভ্যান, অটো ও মটরসাইকেল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ব্রিজটির উপর দিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাও মো. মোসলেহউদ্দীন ও আনিছুল হক মিয়া বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল ও যানবাহন যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে, ব্রিজটি ভাঙার কারণে যানবাহন আসা যাওয়া করতে পারে না। দীর্ঘ দিন ব্রিজটি ভেঙে রয়েছে দেখার যেন কেউ নেই।
চতলা বাজারের ব্যবসায়ী মো. নীরব মহাজন ও সফিজল নামের ২ জন ব্যক্তি বলেন, প্রতিদিন এই ব্রিজটি কয়েকশত মানুষ ও যাত্রীবাহী গাড়ি আসা যাওয়া করে ব্রিজটা পুনর্নির্মাণ করা জরুরি।
স্থানীয় মাসুদ মিয়া বলেন, চরম ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়ার পথে ব্রিজটি ভাঙার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন দুর্ঘটনা পতিত হয়েছেন। আমি নিজেও ভাঙা জায়গায় পরে মারাত্মক আহত হয়েছি।
শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন রাসেল বলেন, এই ব্রিজটি দিয়ে যাত্রী বাহি গাড়ি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন শতশত মানুষ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা এখান দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে আসে এবং যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটার আগেই ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের নিকট।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, ব্রিজটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি।ব্রিজটি ছাড়াও উপজেলায় মোট ১২টি ব্রিজ সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।
বিবার্তা/মনজুর/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]