কক্সবাজারের চকরিয়ায় একটি বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে বাবা-মাকে এক রুমে আটকে রেখে অন্য রুমে কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ করার অভিযোগে বাবুল নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ জুন) ওই কিশোরীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার একটি গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি, ধর্ষণের আগে বাড়ি থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ৫ হাজার টাকা চুরি করে চোরচক্র। পরে ১৭ জুন সকালে কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে থানা মামলা করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার পরই দুপুরে অভিযান চালিয়ে চুরি ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ বাবুল (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বাবুল উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের বার আউলিয়া নগর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে। তাকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কিশোরী একা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অন্য রুমে তার মা-বাবা ঘুমাচ্ছিলেন। গভীর রাতে ৪ জন মুখোশপরা অজ্ঞাত লোক তাদের ঘরে ঢোকে। অজ্ঞাত চোর বাড়ি থেকে তিনটি মোবাইল সেট ও ৫ হাজার টাকা চুরি করে। চুরি করে চলে যাওয়ার সময় এক রুমে বাবা-মাকে আটকে রেখে, অন্য রুমে এক চোর কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, এক বাড়িতে অজ্ঞাতনামা চারজন ব্যক্তি চুরি করতে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাবুল নামের এক যুবককে গেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আর কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিবার্তা/কেআর