প্রতিবেশি নাঈমের সঙ্গে প্রেম ছিলো নারায়ণগঞ্জের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তার। একদিন মার্কেটে যাওয়ার কথা বলে মুক্তা আর ফেরেনি বাসায়। দুই মাস পর হঠাৎ ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে তার খোঁজ পান মা। জানতে পারেন মেয়ে বিক্রি হয়ে গেছে পতিতালয়ে।
কিশোরীর মা সুলতানা বেগম বলেন, তারা বলেছে আপনার মেয়েকে যে মহিলা বাংলাদেশ থেকে আনছে সেই তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিচ্ছিল আমরা সেখান থেকে রক্ষা করেছি। আমার মেয়ে আমাকে বলেছে মা তুমি যেমনে পার সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আন।
মুক্তার সঙ্গে নাঈমের বিয়ে দেয় ছেলের মা ফারজানা। এরপর চিকিৎসার কথা বলে ভারত নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে ঠিকানা হয় গণিকাদের ঘরে। সেখান থেকেই পুলিশের সহায়তায় মুক্তার আশ্রয় মেলে স্থানীয় চাইল্ড সেফ হোমে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, মহারাষ্ট্রের জয়পুরে তারা গ্রেপ্তার হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি একটি সেল্টার হোমে আছে এবং পাচারকারী জয়পুরের কারাগারে আছে।
মুক্তাকে ফিরিয়ে আনতে সবধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছে সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসন।
নারায়ণগঞ্জ সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, একটা জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটি আছে এই কমিটিকে জানাতে হবে। এরপর যা সাহায্য সহযোগিতা লাগে এখানে আপনারা পেতে পারেন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, আমরা প্রপার চ্যানেলে যেভাবে আমাদের ব্যবস্থা আছে সে ব্যবস্থা করে আমরা এ মেয়েটাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই অভিযুক্ত নাঈমের। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ছেলের মা ফারজানাকে।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]