শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এক তরুণী (১৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৫ মে) রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- রুদ্রকর ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মিজান ঢালী (৪৫), মৃত জব্বার ফরাজীর ছেলে মো. জুয়েল ফরাজী (২৪), তোতা বয়াতীর ছেলে মো. সুমন বয়াতী (১৮), আব্দুর রব বয়াতীর ছেলে ইয়াসিন বয়াতী (৩৮), মৃত হাচেন সরদারের ছেলে শাহিন সরদার (৩০), খোকন সরদার (৩৩) ও রাসেল সরদার (২৬)।

গ্রেফতার সবাই রুদ্রকর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরোসুন্দী গ্রামের বাসিন্দা।

শনিবার (৬ মে) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, জুয়েল ফরাজী বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস কর্মী ছুটিতে বাড়ি আসার সংবাদ পেয়ে গোপনে ওত পেতে ছিল ধর্ষকরা। তার বান্ধবীও বেড়াতে এসেছিল তার বাড়িতে।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বান্ধবীসহ ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস কর্মী ঘর থেকে বের হলে তাদের মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার বান্ধবীকে পাশের রুমে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, মামলায় উল্লেখিত ৭ জনকে ভোর পাঁচটার দিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ভুক্তভোগীর বাবার মামলায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হবে। অজ্ঞাত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।
বিবার্তা/এনএস