শেরপুরের শ্রীবরদীতে মো. জসিম (১২) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সকালে হাঁসধরা গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে জসিমের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানা পুলিশ।
নিহত জসিম উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে। সে হাঁসধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫এপ্রিল, বুধবার সন্ধ্যায় জসিমের মা জবেদা বেগম জসিমকে বাজার থেকে একটি পান এনে দেওয়ার কথা বলেন। জসিম তার বড় ভাই রুবেল মিয়ার অটোরিকশা ভ্যানটি নিয়ে হাঁসধরা গ্রামের বাজারে যায়। এ সময় বিলভরট গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুদ জসিমকে হাঁসধরা গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে জসিমের কাছ থেকে জোরপূর্বক রিকশা ভ্যানটি ছিনিয়ে নেন।
পরে মাসুদ বুধবার রাতে অটোরিকশা ভ্যানটি বিক্রি করার জন্য শ্রীবরদী পৌর শহরের উত্তর বাজারে যান। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা মাসুদকে আটক করে অটোরিকশা ভ্যানসহ থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় পরও শিশু জসিম বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন ও স্বজনেরা বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে ৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সকালে হাঁসধরা গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে জসিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী।
সংবাদ পেয়ে শ্রীবরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিমের লাশ উদ্ধার করে। শিশু জসিমের মা জবেদা বেগম তার ছেলেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জসিমের গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. মাসুদকে আটক করা হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিবার্তা/মনির/নিলয়/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]