প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য মন মাতানো নিঝুম দ্বীপ
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:৪০
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য মন মাতানো নিঝুম দ্বীপ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বঙ্গোপসাগরের কোল জুড়ে আর মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা নোয়াখালীর একমাত্র বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ অঞ্চল। উত্তাল সাগরের কোলে সবুজ প্রকৃতির এক মায়াবী ভূখণ্ড নিঝুম দ্বীপ। দ্বীপের সৈকতে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত, চিত্রল হরিণের ছোটাছুটি আর কেওড়া, বাইন, গেওয়া বনের এই  দ্বীপটি। 


বর্তমানে নিঝুম দ্বীপ নাম হলেও স্থানীয় লোকেরা এখনো এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেই সম্বোধন করে। মূলত বাল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং মৌলভির চর - এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ।


৭০ দশকে পরীক্ষামূলকভাবে বনবিভাগ চার জোড়া হরিণ ছাড়ে। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের হরিণ শুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া বনের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবি করেন।


দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার সমুদ্র সৈকতে আসছে ছবি-ভিডিও তুলছেন। যা ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।


ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক ফাতেমা বলেন , নিঝুম দ্বীপের প্রাকৃতি পরিবেশ নিঃসন্দেহে অসাধারণ।এই প্রাকৃতিক পরিবেশটার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব শিল্প নগরীও উন্নয়ন করা সম্ভব যাতে করে বন নষ্ট না হয়, সমুদ্র সৈকত নষ্ট না হয় সাথে মানুষের নিরাপত্তা অবশ্যই। 


আরেক পর্যটক বলেন, সরকার যদি ভালো যাতায়াত ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে যাত্রীরা ভালোভাবে আসা-যাওয়া করতে পারবে।


স্থানীয় পর্যটক আরিফ মাহমুদ বলেন, পর্যটনশিল্পটাকে আমরা যদি গতিশীল করতে পারি, পর্যটকদের আমরা যদি নিরাপত্তা দিতে পারি, রাস্তাঘাট, হোটেল-মোটেল যদি তৈরি হয়; তাহলে হাতিয়া হবে আমাদের একটা বিশাল অর্থনৈতিক জোন।


হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, নিঝুম দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।


দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সরকার বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।


হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, নিঝুম দ্বীপের যে-  সৌন্দর্যটা আছে যদি এটাকে আরেকটু ঢেলে সাজানো যায় একই এখনকার অবকাঠামো গুলো যেমন , রাস্তা চারপাশের বেরিবাঁধ সম্পন্ন করা যেত। তাহলে শীত মৌসুমে ও পর্যটন মৌসুমে যে পর্যটকেরা  আসে তার চেয়ে কয়েকগুণ পর্যটক আসা সম্ভব হত । কিন্তুু নিঝুম দ্বীপ দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন এরিয়া যা চাইলে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য এ জন্য বড় ধরনের যে প্রকল্প দরকার ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে এলজি আইডি ও সড়ক বিভাগ কাজ করছেন।


বিবার্তা/সবুজ/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com