সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো অভিযুক্ত আসামির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ১৯:৫৮
সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো অভিযুক্ত আসামির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া তিনজনের একজনের নাম অনুজ থাপন। পুলিশি হেফাজতে যিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম তার অবস্থা আশঙ্কাজন ছিল বলেই জানিয়েছে।


১ মে, বুধবার পুলিশি হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ।


বুধবার বিকেলে এবিপি আনন্দ, হিন্দুস্তান টাইমসের ব্রেকিং নিউজে জানা গেছে, আশঙ্কাজনক সেই অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজতেই মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর।


একটি সূত্র এবিপি আনন্দকে বলেন, গত ২৬ এপ্রিল পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করা হয় অনুজকে। আজ সকাল ১১টার দিকে লক-আপের অ্যাটাচ বাথরুমে গিয়ে আত্মহত্যা করে সে। অনুজসহ একই লক-আপে আরো ১০ জন বন্দি ছিল। তাদের নিরাপত্তায় ছিলেন ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য।


তবে কী কারণে অনুজ থাপন আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।


মহারাষ্ট্রের সিনিয়র পুলিশ অফিসার পিকে জৈন এনডিটিভিকে বলেন, এ ঘটনার জন্য থানার সমস্ত পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।


গত ১৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাড়ি গ্যালাক্সিকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায় অভিযুক্তরা। বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। অনুজ থাপন ও সোনু সুবাস চন্দের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।


জানা যায় দুই ব্যক্তি বাইকে করে এসে সালমানের বাড়ির বাইরে গুলি চালায়। পুলিশ এই গুলিকাণ্ডে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে দুই অভিযুক্ত তিনবার পোশাক পরিবর্তন করেছিলেন যাতে পুলিশের চোখে ধরা না পড়ে।


পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, অভিযুক্ত তিনজনের কাছ থেকে ৪০টি গুলি পাওয়া গেছে। এমনকি সলমনের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর দায় সমাজমাধ্যমে নিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল। ৪ মে পর্যন্ত এই মামলায় অভিযুক্ত তিনজন ভিকি গুপ্তা, সাগর পাল এবং অনুজ থাপনকে পুলিশি হেফাজতে রাখার কথা জানানো হয়েছিল। ১ মে তেই মৃত্যু হলো একজনের।


পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, অভিযুক্ত তিনজনের কাছ থেকে ৪০টি গুলি পাওয়া গেছে। এমনকি সলমনের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর দায় সমাজমাধ্যমে নিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল। ৪ মে পর্যন্ত এই মামলায় অভিযুক্ত তিনজন ভিকি গুপ্তা, সাগর পাল এবং অনুজ থাপনকে পুলিশি হেফাজতে রাখার কথা জানানো হয়েছিল। ১ মে তেই মৃত্যু হলো একজনের।


সালমানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্য এবং অনুরাগীরা। তার ভাই আরবাজ খান সংবাদমাধ্যমকে একটি বিবৃতিতে জানান যে, তিনি এই ঘটনায় অবাক হয়েছেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ঘটনার পর সালমান খানের সঙ্গে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। বাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন একনাথ শিণ্ডে এবং সালমান খানের নিরাপত্তা রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।


কৃষ্ণসার হরিণ শিকার ঘটনায় সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য করা হয় কৃষ্ণসার হরিণকে। ১৯৯৮ সালে সালমান খানের উপর যোধপুরে সিনেমার শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল সালমান। এর আগে বেশ কয়েকবার সালমান খানকে শার্প শুটার দিয়ে হত্যার ছক কষেছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com