রঙিন ফুলকপি চাষে সফল শফিকুল
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:৩০
রঙিন ফুলকপি চাষে সফল শফিকুল
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর কৃষক শফিকুল ইসলাম। তিনি সারাবছরই তার জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এবার তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন।


শফিকুল ইসলাম তার অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে চার রঙের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।


আর রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে শফিকুল ইসলামের জমিতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা। কেউ নিচ্ছেন পরামর্শ আবার কেউ তুলছেন ছবি।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বনাগাঁও পূর্বপাড়ার শফিকুল ইসলাম সারা বছরই নানা রকম শাক-সবজির আবাদ করেন। এ বছর তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে ১৫ শতক জমিতে চার রঙের ফুলকপির বীজ বপন করেন। এতে তিনি শুধু জৈবসার ব্যবহার করছেন।


শফিকুল ইসলাম জানান, ১৫ শতাংশ জমিতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। কোনো ধরণের কীটনাশক-সার ব্যবহার না করেই শুধু জৈব সার ব্যবহার করেন তিনি। চারা রোপনের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর বাগানে আসে রঙ্গিন ফুলকপি। বর্তমানে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। তার আশা বাগান থেকে ১লাখ ৩০হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রঙ্গিন ফুলকপি।


তিনি আরও বলেন, মজার ব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। তাছাড়া বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।


একই এলাকার কৃষক জামিল মিয়া জানান, আমাদের এলাকায় শফিকুল ইসলামের আগে অন্য কেউ রঙিন ফুলকপির চাষ করেনি। আমিও ফুলকপিগুলো এর আগে দেখেছি। তবে এখানে খুব ভালো ফলন হয়েছে। এসব কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমিও আমার জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করব।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক শফিকুল ইসলাম শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমরা কৃষকদের পাশে সব সময় আছি।


তিনি আরও বলেন, ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে।


জেলা কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ বলেন, সাধারণ কপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বাজারে বেশি। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক খুব একটা বেশি না। কৃষকদের সকল পরামর্শ দিতে জেলা কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে আছে।


বিবার্তা/জেএইচ


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com