
দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ শিকারে নদীতে নেমেছেন ভোলার জেলেরা।
বুধবার (১ মে) মধ্যরাত থেকে ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার কিলোমিটার এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন জেলেরা।
ঢালচর এলাকার জেলে জসিম বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের যে পরিমাণ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়, তা দিয়ে কিছুই হয় না। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি, সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালানো আমাদের জন্য অসম্ভব।
পুরানবাজার এলাকার জেলে হারুন ও গফুর বলেন, কিছুদিন কাজ করেছি জাল-নৌকা মেরামতের। এখন নদীতে ইলিশ না পেলে আমাদের দুঃখ-কষ্টের শেষ থাকবে না। এখন আল্লাহ ভালো জানেন, নদীতে ইলিশ পাব কিনা।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছে, এবার ৫৪৪টি অভিযান, ১৬০টি মোবাইল কোর্ট, ৬৭৭ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে ৪৫৮ জনকে। জরিমানা করা হয়েছে ১১০ জনকে ও অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ১০৯ জনকে মুচিলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রায় ২৬ দশমিক ৫ লাখ মিটার কারেন্ট ও ফাঁস জাল এবং বেহুন্দী, চরগাড়া ও পায়জলসহ অন্যান্য জাল জব্দ করা হয়েছে ৮৫৫টি। এছাড়া ১০ দশমিক ৯ মেট্রিক টন জাটকা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬ লাখ ৩০ লক্ষ টাকা।
দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহণ, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
বিবার্তা/শাহীন/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]