যশোরে বাওড় নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে এজাজ আহমেদ (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত এজাজ আহমেদ যশোর সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছাতিয়ানতলা মল্লিকপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে এজাজ সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে ঝাউদিয়ায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ছাতিয়ানতলা মল্লিকপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডা. আব্দুর রশিদ জানান, মাথার পেছনের দিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহত এজাজের লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত এজাজের চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গেড়াদিয়া-শালকের বাওড় ইজারা নিয়ে তারা ঘের করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় মোস্তফা ও তার লোকজনের সাথে বিরোধ চলছিল। মোস্তফা তার লোকজন নিয়ে ওই ঘের দখলের চেষ্টা করছিল। এই বিরোধের জের ধরেই এজাজকে হত্যা করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর এজাজের বড় ভাই আওয়ামী লীগ কর্মী শহিদুল ইসলামকে (৫০) একই প্রতিপক্ষ কুপিয়ে হত্যা করে। এদিকে এজাজ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ইলিয়াছ হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

বিবার্তা/তুহিন/যুথি