শিরোনাম
দৌলতপুরে উদ্ধার হওয়া প্রাণিটি মৃত্যুর মুখে
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:৩২
দৌলতপুরে উদ্ধার হওয়া প্রাণিটি মৃত্যুর মুখে
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলে উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির একটি বন্য প্রাণি বনবিভাগ কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় মরতে বসেছে। উদ্ধার হওয়ার দু’দিন অতিবাহিত হলেও বনবিভাগ কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে বন্য প্রাণিটি না খেয়ে অসুস্থ হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ধাবিত হচ্ছে।


বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পূর্বচররামকৃষ্ণপুর গ্রামের আজিজুল হকের বাড়ি থেকে স্থানীয়রা বিরল প্রজাতির ওই বন্য প্রাণিটি উদ্ধার করে।


চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ জানান, পূর্বচররামকৃষ্ণপুর গ্রামের আজিজুল হকের বাড়ির হাস-মুরগির ঘরে ঢুকে হাস-মুরগি ও মুরগির ডিম খেয়ে ফেলছিল প্রাণিটি। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী জাল দিয়ে ওই হিংস্র প্রাণিটি আটক করে খাঁচায় বন্দি করে। হিংস্র বন্যপ্রাণি আটক হওয়ার খবরটি দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলে তিনি তৎক্ষনাৎ আটক হওয়া বন্যপ্রাটিটি উদ্ধার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বনবিভাগ কর্মকর্তাদের জানান।


দৌলতপুর বনবিভাগ কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, বন্যপ্রাণি আটকের খবর পাওয়ার পর বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হলে তারা বন্যপ্রাণিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য বলেন। শনিবার সকালে বন্যপ্রাণিটি উদ্ধার করার জন্য সেখানে যাব।


এ বিষয়ে বনবিভাগের জেলা কর্মকর্তা আসলাম মজুমদার জানান, বন্যপ্রাণি আটকের খবর পাওয়ার পর ভেড়ামারা সার্কেলের বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাককে আটক বন্যপ্রাণিকে উদ্ধারের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


তবে ভেড়ামারা সার্কেলের বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে বলেন, চিলমারীর চরে ট্রলার যোগে যেতে হবে এবং বন্যপ্রাণিটি নিয়ে আসার জন্য খাঁচা বানাতে হবে। আর এসব করে যেতেতো একটু সময় লাগতে পারে। তবে সমস্যা নেই দৌলতপুরের বনবিভাগের দায়িত্বে যারা আছেন তারা ঘটনাস্থলে বন্যপ্রাণিটি আনার জন্য চলে গেছেন।


বিবার্তা/শরীফুল/পলাশ


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com