হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার গল্প তো সবার জানা। ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল নগরবাসী। এতোটাই অতিষ্ঠ যে ইঁদুরের হাত থেকে রেহাই পেতে ছুটে গিয়েছিল মেয়রের কাছে পর্যন্ত।
এবার ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তানের পেশওয়ার নগরবাসী। প্রতিদিন গড়ে সাত জন পেশওয়ারবাসীকে ইঁদুরের কামড় খেতে হচ্ছে।
এ নগরীতে ধেড়ে ইঁদুরের সংখ্যা বিস্ময়কর দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষের বসতিস্থলে এদের বসবাস। এসব ইঁদুর কোনো-কোনোটি বিড়ালের মতোই বড়। নগরীর অলিগলিতে এগুলো দিনের বেলাতেই নির্ভয়ে ঘুরে বেড়ায় আর রাতের বেলায় ঘুমন্ত মানুষকে কামড়ে দেয়। উপযুক্ত চিকিৎসা না করালে তা থেকে গুরুতর সংক্রমণ, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এখন প্রতিদিনই পেশওয়ারের বিখ্যাত লেডি রিডিং হাসপাতালে ইঁদুরের কামড় খাওয়া মানুষের সারি দেখা যায়। হাসপাতালটি এবং অপর একটি হাসপাতাল হায়াতাবাদ মেডিক্যাল কমপ্লেক্স ইঁদুরের কামড় খাওয়া মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও টিকা দিচ্ছে এবং রোগীদের তথ্য সংরক্ষণ করছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বেশিরভাগ রোগীই আসছে স্বল্প আয়ের মানুষদের এলাকা থেকে। তাদের যাকেই জিজ্ঞাসা করা হয়, ''কোথায় ঘুমাও?'' সবাই একই জবাব দেয়, ''মেঝেয়।''
ইঁদুরের উৎপাত বিষয়ে ২০১৬ সালে পেশওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, দেশী জাতের কালো ইঁদুর এবং বাদামী রঙের বিদেশী ইঁদুরই লোকজনকে কামড়ে দিচ্ছে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বাদামী রঙের বিদেশী ইঁদুরগুলো পাকিস্তানে এসেছে করাচি থেকে। করাচি বন্দরে জাহাজে করে যে খাদ্যপণ্য আসে, সেসব বস্তায় করে এ ইঁদুর দেশটিতে ঢুকেছে বলে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন। আর খোলা পয়ঃপ্রণালী পেয়ে সেগুলো মজাসে বংশবৃদ্ধি করতে পেরেছে। সূ্ত্র : ডন অনলাইন
বিবার্তা/হুমায়ুন/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]