মহামারি ছড়াতে মশার জুড়ি মেলা ভার। প্রতিবছর মশার কামড়ে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তাই আধুনিক সভ্যতা ও পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে এবার মশার বংশ ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং।
মশা মারতে কামান দাগার একটা প্রবাদ আমাদের মধ্যে প্রচলিত আছে। তাই বলে মশা মারতে ক্ষেপনাস্ত্র সনাক্তকরণ রাডার ব্যবহার? হ্যা যা শুনছেন তা ঠিকই শুনছেন। মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে চীন এবার রাডার ব্যবহার করবে।
মশার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মশার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বেইজিং। ধেয়ে আসা মিসাইলকে চিহ্নিত করতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, অনেকটা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এবার মশার বংশ ধ্বংস করতে চায় চীন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মশা খুঁজে বের করে তাদের বংশ ধ্বংস করতে ‘মিলিটারি গ্রেড’ রাডার বানাচ্ছে বেইজিং। বেইজিং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ডিফেন্স ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে এই ‘কাটিং এজ’ রাডার।
জানা গেছে, আশেপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটিও মশা খুঁজে পেলে এই রাডার জানিয়ে দেবে। আপাতত যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ তৈরি। তবে মশা মারতে নয়, প্রাথমিক ধাপে মশা খুঁজে পেতে তৈরি হচ্ছে এই যন্ত্র।
এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাফল্য পেলে মানবজাতির পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে উঠবে এই যন্ত্র।
যন্ত্রটির কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, এই যন্ত্র থেকে এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বের হবে, যা আশেপাশের ২ কি.মি. পর্যন্ত থাকা মশাদের খুঁটিনাটি চরিত্রও জানিয়ে দেবে কন্ট্রোল রুমে বসে থাকা বিজ্ঞানীদের। মশাটি কোন জাতের, সেটির লিঙ্গ, কত জোরে উড়ছে বা কোনদিকে উড়ে যাচ্ছে, সবই ল্যাবে বসেই জানা যাবে। তারপর সেটি কীভাবে নিধন করা যায়, তার পন্থা খোঁজা হবে।
প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত শীর্ষকর্তারা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে জানান, আধুনিক সভ্যতার জন্য মশা একটি অভিশাপ। মশার মাধ্যমে অনেক জটিল রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তাই মশা নিধনে এতসব আয়োজন।
বিবার্তা/তৌহিদ/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]