বিশ্বে নানা রকম ভাস্কর্য আছে। তবে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অঙ্গ নিয়েও ভাস্কর্য হতে পারে। তেমন হাত মানুষের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হাত ছাড়া মানুষকে কল্পনা করা যায় না। হাতের গুরুত্ব বুঝতে পেরে পৃথিবীর নানা দেশ হাতের ভাস্কর্য তৈরি করে। এবার হাতের সেই সব ভাস্কর্য নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা। হাতের এসব ভাস্কর্য বিশ্বে বিখ্যাত শিল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চিলির ম্যান দেল ডিএরতো, আটাকামা মরুভূমি ভাস্কর্য
চিলির আন্তোফাগাস্তা শহর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে আটাকামা মরুভূমিতে কেন্দ্রে এই হাতের ভাস্কর্য দেখা যায়। চিলির লোকজন যখন সামরিক তন্ত্রের আঘাতে জর্জরিত ছিল তখন দেশটির ভাস্কর্য শিল্পী মারিওরারাজাবেল নির্যাতিতদের স্মরণে এই ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়।কংক্রিটের তৈরি এই ভাস্কর্য উচ্চতায় ১১ মিটার লম্বা।
উরুগুয়ের পুনতা ডেল এস্টে
এটিও তৈরি করেন চিলির প্রখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী মারিও রারাজাবেল। উরুগুয়ের পর্যটন শহর পুনতা ডেল এস্টে রয়েছে এই ভাস্কর্য। ১৯৮২ সালে এই ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। তবে এর অনেকগুলো নাম আছে। তার মধ্যে লা ভিদা, মনুমেন্টো লস ডেডস।
টালসার প্রেয়িং হ্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের টালসা শহরের ওরাল রবার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এই ভাস্কর্যটি। উচ্চতা ৬০ ফুট, ওজন ৩০ টন। এটি আমেরিকা মধ্যে ব্রোঞ্জের তৈরি সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য।
হ্যান্ড অব হারমোনি, দক্ষিণ কোরিয়া
এটি দক্ষিণ কোরিয়ার হোমিগট বীচে রয়েছে। ১৯৯৯ সালে এই ভাস্কর্য নির্মাণহয়। এটি ব্রোঞ্চ ও গ্রানাইট পাথরে তৈরী।
জায়েন্ট হ্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার উত্তরে বানডাং শহরে রয়েছে এই ভাস্কর্যটি। গেইট অব শেটত্রুদুতা হিসেবে একটি হাউজিং কমপ্লেক্সের সমানে এটি নির্মাণকরা হয়েছে। এটি স্টিলের তৈরী। ভাস্কর্যটি নির্মাণ ও নকশা করেন নিউম্যান নুয়ার্তা নামের এক ভাস্কর্য শিল্পী।
হলোকস্ট মেমোরিয়াল, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে এই ভাস্কর্যটি দেখা যায়। স্থপতি কেনেথ ট্রাইস্টার এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। শতাধিক মানুষ হাত তুলেছে আকাশের দিকে বাচার তাগিদে। এটিকে জাগিয়ে তোলা হয়েছে এই ভাস্কর্যে। উচ্চতায় ১২ মিটার লম্বা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদী গণহত্যা স্মরণে এটি নির্মাণ করা হয়।
হ্যন্ডস এন্ড মোলিকিউল, ব্রিটেন
ব্রিটেনের কেন্ট, রামসগেটে এই ভাস্কর্যটি দেখতে পাওয়া যায়। ৮ উচ্চতা এই ভাস্কর্য ব্রিটেনের ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি ফিজারের। ২০০০ সালের জুনে ভাস্কর্য নির্মাণ শেষ হয়। ডেভিড বার্নাস নামের এক ব্যক্তি ফিজার কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ভাস্কর্য নির্মাণে অর্থ সহায়তা দেন।
দ্যা হ্যান্ড, স্পেন
১৯৮৭ সালে স্পেনের মাদ্রিদে মারিওরারাজাবেল এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেন। মাদ্রিদের পার্ক জুয়ান কার্লোসে এটি আছে। এটি উরুগুয়ের পুনতা ডেল এস্টের মত ভাস্কর্য।
জায়েন্ট হ্যান্ড অব ভেনিস, ইতালি
পানির ওপরে যে শহর সেটি ইতালির ভেনিস। এই ভেনিস শহরে এই ভাস্কর্যটি দেখা যায়। তবে এটি স্থায়ী কোনো ভাস্কর্য নয়। তবে নভেম্বর পর্যন্ত এই ভাস্কর্য রাখা হবে। আবহাওয়া সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে এই ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছিল।
বিবার্তা/সুমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]