প্রাইভেট কারে করে যাত্রী ছাড়া বড়জোর ব্যাগ–লাগেজসহ ছোটখাটো জিনিস পরিবহনের কথা শোনা যায়। কিন্তু যদি বলা হয়, আস্ত ষাঁড় পরিবহন করা হয়েছে প্রাইভেট কারে? অবাক হওয়ারই কথা। আর এমন দৃশ্য দেখলে তো ভ্রু কুঁচকেই যাবে।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যে। সেখানকার পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ নিয়ে পোস্ট করা ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার)।
স্থানীয় সময় গত বুধবার সকালে নেব্রাস্কার নরফেক শহরের মহাসড়ক ২৭৫-এ প্রাইভেট কারে করে বিশেষ ব্যবস্থায় ষাঁড় পরিবহনের এমন দৃশ্য দেখা যায়। আর ষাঁড়টিও গতানুগতিক ষাঁড়ের মতো নয়। বিশাল আকারের শিঙের জন্য এই ষাঁড় বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এই প্রজাতির ষাঁড়ের নাম ওয়াটসুই।
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রাইভেট কারটি মহাসড়ক ধরে যাচ্ছে। চালকের পাশের যাত্রী অংশে পেছন পর্যন্ত হালকা সাদা ছোপ ছোপ কালো রঙের একটি বড় ষাঁড় দাঁড়িয়ে আছে। ষাঁড়টির শিং এতটাই বিশাল যে তা প্রস্থে প্রাইভেট কারের এপাশ-ওপাশ ছড়িয়ে আছে।
নরফেক পুলিশ বিভাগের ক্যাপ্টেন চাদ রেইমান সম্প্রচার মাধ্যম নর্থ-ইস্ট নেব্রাস্কাকে বলেন, তাঁরা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে বুধবার সকাল ১০টায় ফোনকলে বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন। পুলিশ প্রথমে ভেবেছিল, এটি হয়তো বাছুর হবে। পরে ট্রাফিক পুলিশ তল্লাশিচৌকি বসিয়ে যা দেখেছেন, তাতে তাদের চোখ ছানাবড়া।
ভিডিওতে দেখা যায়, ষাঁড়টি বহন করতে মালিক প্রাইভেট কারের ডান পাশের যাত্রী অংশ (চালকের আসন বাঁ পাশে) ছাদ সামনে থেকে পেছন পর্যন্ত কেটে ফেলেছেন। এরপর আসন খুলে ষাঁড়টিকে সেখানে দাঁড় করান। আর ষাঁড়টি যাতে সড়কে কাত হয়ে পড়ে না যায়, সে জন্য একটি লোহার বেষ্টনী দিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা রেইমান বলেন, তাঁরা গরুর মালিককে কিছু ট্রাফিক আইন ভঙ্গের বিষয়ে লিখিত সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ওই গরুর মালিকের নাম লি মায়ার। তিনি পার্শ্ববর্তী নিলাই শহরের বাসিন্দা।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]