আসছে কোরবানি ইদকে সামনে রেখে কোরবানির হাট মাতাতে তৈরি কালাপাহাড়৷ অন্যান্য গরুর চেয়ে ব্যতিক্রম বলে মালিক আদর করে নাম রেখেছে কালাপাহাড়। আকার-আকৃতিতে এত বড় যে, গরুটি ঘর থেকে বের করতে দেয়াল ভাঙতে হবে। ইতিমধ্যে কালাপাহাড় নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। আশেপাশের লোকজন ছাড়াও কালাপাহাড়কে দেখতে আসছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ব্যবসায়ীরাও আসছেন কালাপাহাড়কে কিনতে। তবে, মালিক এখনই কালাপাহাড় কে ছাড়ছেন না। আশায় আছেন ভালো দাম পেলে তবেই কালাপাহাড়কে তুলে দেবেন ক্রেতার হাতে।

কালাপাহাড় নামের এই গরুটিকে কিনতে হলে আসতে হবে দিনাজপুর খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দক্ষিণ দুবুলিয়া গ্রামের খামারি নিয়ামত্যুল্লাহ শাহের খামারে।

জানা যায়, গরুটিকে প্রতিদিন ৬-৭ বার গোসল করান হয়। মাথার উপর সব সময় চলে ৩টি ফ্যান। কালাপাহাড়ের দেখাশুনার জন্য রয়েছেন একজন কর্মচারীও।

কালাপাহাড়কে দেখে গরু ব্যবসায়ীরা জানান, গরুটিতে প্রায় ২৫ থেকে ২৭ মণ মাংস হবে বলে ধারনা করছি। বিশাল আকৃতির গরুটির দাম হতে পারে ৮-১০ লক্ষ টাকা।

কালাপাহাড়কে কিভাবে তৈরি করলেন জানতে চাইলে গরু খামারি নিয়ামত্যুল্লাহ শাহ বিবার্তাকে বলেন, আমি প্রায় ৬ বছর ধরে গরু পালন করছি, পাশাপাশি আমি একজন ব্যবসায়ী। প্রতিটি গরু যত্ন করে লালন-পালন করে বিক্রি করি। কিন্তু এবার আমার টার্গেট ছিল ২০-২৫ মণ ওজনের গরু করব। আল্লাহ আমার আশা পূরণ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বিবার্তাকে বলেন, ‘ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালনে অনেকেই আগ্রহী হন না। তবে, খামারি নিয়ামত্যুল্লাহ সফল হয়েছেন। গরুটির বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি এবং গরুটিকে যাতে কোন প্রকার ওষুধ প্রয়োগ না করা হয় সেজন্য মনিটরিং করেছি। গরুটি পালনে আমরা তাকে নানা পরামর্শ দিয়েছি। ভবিষ্যতে এরকম গরু যদি কেউ পালন করতে চায়, আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহযোগীতা দেয়া হবে।'

বিবার্তা/জামান/রোমেল/এসবি