মুসলিমবিশ্বের অনেক দেশেই মেয়েদের কুস্তিতে অংশ নেয়া এখনো কল্পনাতীত। তবে একসময় যা কল্পনাতীত, পরে তা-ই তো বাস্তবে পরিণত হয়। যেমন সউদি নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছে। একইভাবে কুস্তির মতো খেলায় অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়ছে ইরাকের মেয়েরা।
যেখান থেকে শুরু
মেয়েদের স্কুলের শিক্ষিকা নেহায়া দাহের-এর উদ্যোগে ইরাকের দিওয়ানিয়া শহরে শুরু হয় মেয়েদের কুস্তি প্রশিক্ষণ। প্রথমদিকে সমাজের নানা অংশ থেকে বিরোধিতা শুরু হলেও কুস্তি শিখতে ইচ্ছুক মেয়েদের সংখ্যাও একেবারে কম ছিল না। ফলে ছাত্রী পেতে কোনো অসুবিধা হয়নি নেহায়ার।
আর এখন?
১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সি প্রায় ২০ জন নারীকে নিয়ে গড়ে উঠেছে কুস্তি টিম৷। সবাই বোরখা-হিজাব পরে কুস্তি শিখতে এলেও কুস্তির সময় শর্টস, টাইটস বা টি-শার্টই পরা থাকে।
উল্লেখযোগ্য যাঁরা...
আলিয়া ইতিমধ্যে বৈরুতে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে রৌপ্য পদক জিতেছেন। তাঁর ইচ্ছা, স্কুল শেষ করার পর বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শারীরশিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করার।
সমাজ কী বলে?
ইরাক একটি মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়ায় মেয়েদের কুস্তির প্রতি স্বাভাবিকভাবেই একটা চাপা বিরোধিতা ছিল। কিন্তু উদ্যোক্তাদের ধারাবাহিকতা ও ধৈর্যের কারণে মেয়েদের বাড়ির লোকেদের তাঁরা বোঝাতে পেরেছেন। ফলে সমাজের চোখরাঙানি এড়ানো অনেকটাই সহজ হয়ে পড়ে। বর্তমানে দিওয়ানিয়া শহরে নারী কুস্তিগীরদের ভক্তসংখ্যা খুব একটা কম নয়।
তাঁদের পাশে যিনি
সব পুরুষ যে মেয়েদের কুস্তিচর্চার বিরোধিতা করেননি তার প্রমাণ হামিদ আল-হামদানি। হামিদ বর্তমানে মেয়েদের কুস্তি দলের প্রধান কোচ। বিদেশে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে অন্য দেশের মেয়েদের কুস্তি করতে দেখে হামিদ ইরাকেও এমন কিছু করতে উৎসাহী হন।
প্রতিক্রিয়া
ইরাকের কুস্তি ফেডারেশনের মুখপাত্র আহমাদ শামসেদ্দিনের নারীদের কুস্তির প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। দিওয়ানিয়ার মেয়েদের অনুপ্রেরণায় গোটা ইরাকেই এসেছে কুস্তি শেখার জোয়ার।
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]