শিরোনাম
কী খাবার খান বিশ্বকাপ তারকারা
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০১৮, ১৯:৩৬
কী খাবার খান বিশ্বকাপ তারকারা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জনি মার্শ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেশ ক'জন ফুটবলারের ব্যক্তিগত শেফ। ওই ফুটবলারদের বাড়িতে গিয়ে তিনি রেঁধে দিয়ে আসেন। ওসব তারকা ফুটবলারের মধ্যে আছেন ইংল্যান্ড দলের ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার এবং গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড।


মার্শের কাস্টমারের তালিকায় একইসাথে রয়েছেন বেলজিয়ামের কেভিন ডি ব্রাইনা এবং মারওয়ান ফেলাইনি। এরা দুজনেই ইংলিশ প্রিমিয়ারশিপেরও তারকা।


বিশ্বকাপের এই তারকাদের জন্য কী কী রাঁধেন জনি মার্শ


কাইল ওয়াকারের পছন্দ স্প্যাগাতি-বোলোনেজ
রাশিয়ায় প্রতিটি দলের নিজস্ব শেফের টিম রয়েছে। টুর্নামেন্ট চলাকালে খেলোয়াড়রা কী খাবেন সে সিদ্ধান্ত অনেকটাই নেন টিম ম্যানেজার। কেননা মাঠে ফুটবলাররা কতটা পারফর্ম করবেন, তার পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ নির্ভর করে তারা ম্যাচের আগে কী খাচ্ছেন তার ওপর।


একেক ফুটবলারের পছন্দ একেক-রকম, কিন্তু ইংলিশ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার ম্যাচের আগে খেতে চান স্প্যাগেতি বোলোনেজ। এটি একটি ইটালিয়ান খাবার। গরুর কিমা ও টম্যাটো দিয়ে সস বানিয়ে সিদ্ধ স্প্যাগেতি বা পাস্তার সাথে পরিবেশন করা হয়।


ওয়াকারও খাবারটি খেতে চান, তবে একটু ভিন্নভাবে। তার পাস্তা সিদ্ধ করা হয় বিটরুটের রসে, যাতে বিটরুটের আয়রন ও নাইট্রেট শুষে নিতে পারে পাস্তা। তিনি বলেন এই দুই খনিজ দ্রব্য মাঠে তাকে বাড়তি শক্তি দেয়।


কেভিন দ্য ব্রাইনা চান প্রচুর শর্করা
"আমার ক্লায়েন্টদের নিয়ে আমি অত্যন্ত খুশি, কারণ তারা খুঁতখুঁতে নন। তারা চান সাদাসিধে খাবার, কিন্তু তাতে থাকতে হবে পুষ্টি।"


যেমন, বেলজিয়াম ও ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাবের তারকা কেভিন ডি ব্রাইনা চান ম্যাচের আগে তার খাবারে যেন যথেষ্ট শর্করা থাকে, তবে খুব ভারি যেন না হয়। আর ম্যাচের পর তিনি চান আমিষ - মাংস।


শেষবার তার ম্যাচের আগে শেফ জনি কেভিনের জন্য তৈরি করেছিলেন বার-বি-কিউ চিকেন টাকো। একটি মোটা রুটির ভেতর বার-বি-কিউ করার মুরগির মাংসের টুকরো ঢুকিয়ে তার সাথে লেটুস পাতা, টম্যাটো ও অ্যাভোকাডো ফলের ফালি দিয়ে রোল করে বানানো হয় মেক্সিকান ঘরানার এই সহজ খাবারটি। সাথে কেভিনকে তিনি দিয়েছিলেন গাজর ও বাঁধাকপির সালাদ।


খুবই মজার!


গোলকিপারদের পছন্দ ভিন্ন
ইংল্যান্ড দলের গোলকিপার জর্ডান পিকপোর্ড ম্যাচের আগে খুব বেশি খেতে চান না। দরকারও নেই। কারণ, দলের বাকি ১০ জন খেলোয়াড়ের চেয়ে গোলকিপারকে ছুটতে হয় কম। ফলে তার শক্তি খরচও হয় কম।


মাঝে মধ্যে ফুটবলাররা রুটিনের বাইরে বেরুতে চান। ফাস্ট ফুড খেতেও চান।


"তারা যদি বার্গার ও ফ্রাই চান, আমি তাদের জন্য মসলাদার টার্কি বার্গার করে দিই। তবে খেয়াল রাখি যেন তেল-চর্বি বেশি না হয়।"



"মিষ্টি খাওয়ার ওপর অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে, কিন্তু অনেকেই মিষ্টির জন্য পাগল, বিশেষ করে ম্যাচের পর তারা পুডিং দাবি করেন..আমি আমার ক্লায়েন্টদের "অ্যাভোকাডো-চকলেট মুস" তৈরি করে দিই, সাথে কিছু প্রোটিন যোগ করে দিই, যাতে দ্রুত তাদের ক্লান্তি কাটে।


ইলকে গুনদোগান চান তুর্কি খাবার
জার্মানি ও ম্যানচেস্টার সিটির ইলকে গুনদোগান জার্মান। কিন্তু তিনি তুর্কি বংশোদ্ভূত। সুতরাং তার জন্য খাবার তৈরির সময় আমি চেষ্টা করি যেন তার পিতা-মাতার দেশের (তুরস্ক) খাবারের স্বাদ-গন্ধ যতটা সম্ভব রাখতে পারি। অধিকাংশ সন্ধ্যায় আমি খাবার রেঁধে কেভিনের বাড়িতে পৌঁছে দিই, তারপর ইলকে'র বাড়িতে গিয়ে রান্না করি...অনেক সময় তার সাথে বসে ডিনার খাই।


আমার স্বপ্নের ক্লায়েন্ট...


তবে জনি মার্শের স্বপ্নের ক্লায়েন্ট অবশ্যই ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো।তিনি বলেন, "আমি তাকে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফ্যান, সে আমার হিরো।"


রোনাল্ডো ও ফ্রান্সের পল পগবার জন্যও রাঁধতে চান ম্যানচেস্টারের এই ইংলিশ শেফ। আশা করছেন সে সুযোগও একদিন-না-একদিন তার হবে। সূত্র : বিবিসি


বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com