
চলতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবার দেখা গেল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক ম্যাচ। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর বোলারদের কল্যাণে সিরিজে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
১০ মে, শুক্রবার মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ দশমিক ৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৩ তুলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন তানজিদ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯ দশমিক ৪ ওভারে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এতে ৫ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ।
এদিন টানা তিন জয়ের পর চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রায় হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। জিততে জিম্বাবুয়ের শেষ ওভারে লাগতো ১৪ রান। সাকিব আল হাসান বল হাতে নিয়ে দারুণ ভূমিকা রাখলেন। যদিও ব্লেসিং মুজারাবানি তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ভয় ধরিয়ে দেন। চতুর্থ ডেলিভারিতে ওয়াইড দিলেও জাকের আলী দারুণ দক্ষতায় স্টাম্পিং করেন তাকে। শেষ তিন বলে লাগে ৬ রান। ক্রিজে আসেন রিচার্ড এনগারাভা। নতুন ব্যাটারকে নিচু বাউন্সে বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার। নিজের চতুর্থ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করেন তিনি এবং ৫ রানের জয়ে বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে থাকলো ৪-০ তে। ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।
যদিও বাংলাদেশের জন্য ম্যাচ এতোটা কঠিন নাও হতে পারত। ব্যাটিং ইউনিট এদিন দেখিয়েছে ব্যর্থতার চরম চিত্র। ১০১ রানের ওপেনিং জুটি দিয়ে বাংলাদেশকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তানজিদ তামিম এবং সৌম্য সরকার। দারুণ ফিফটি পেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু ব্যক্তিগত ৫২ রানে তার বিদায়ের পর ধ্বংসের শুরু। তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, নাজমুল শান্ত কিংবা জাকের আলী-রিশাদ হোসেন কেউই পাননি রানের দেখা। ৪২ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানেই।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]