
স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে নিজের বিশ্রাম শেষ করে মাঠে নেমেছিলেন সিআরসেভেন। তার ফেরার ম্যাচেই ২-০ গোলের ব্যবধানে হারল পর্তুগাল। বল দখলে প্রায় দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে দুবার গোল খেয়ে ১১ ম্যাচ পর হারের মুখ দেখল পর্তুগাল।
প্রথমার্ধে কোনো দলই শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। পুরো প্রথমার্ধ পর্তুগাল বল দখলে রাখলেও আক্রমণে গিয়ে খেই হারিয়েছে বারবার। দুই দলেরই আক্রমণের সংখ্যা বাড়ে বিরতির পর থেকে। তবে এবার গোলমুখে স্লোভেনিয়ার আধিপত্য ছিল বেশি। তাদের আটটি শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, পর্তুগাল দশটি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে স্রেফ দুটি। পুরো ম্যাচে দুই দলের ব্যবধানের হারটা সেখানেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে স্লোভেনিয়ার বেঞ্জামিন সেসকোর শট দৃঢ়তার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা।
এরপরের দশ মিনিটে ঝড়ের বেগে আক্রমণ চালিয়েছে পর্তুগালই। কিন্তু স্লোভেনিয়ান গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাককে খুব একটা কষ্টও করতে হয়নি। ৫৯তম মিনিটে রোনালদোর শট বাইরে চলে যায়। দুই মিনিট পর গনসালো ইনাসিওর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৯তম মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন দিয়োগো দালত। তার শট চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
এতসব মিসেরই যেন খেসারত দিলো পর্তুগাল। সেটাও অবশ্য রোনালদোরই ভুলে। পর্তুগিজ তারকার কাছ থেকে বল কেড়ে নিজেদের অর্ধ থেকে আক্রমণে ওঠে স্লোভেনিয়া। স্লোভেনিয়ার কাউন্টার অ্যাটাক ঠেকাবার উপায় ছিল পর্তুগালের সামনে। ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে নিচু শটে গোল করেন সেরিন। পিছিয়ে যায় পর্তুগাল।
এই গোলের পর অবশ্য পর্তুগাল কামব্যাকের চেষ্টা করেছে। কিন্তু, সেটাও হয়নি। উল্টো ৮০তম মিনিটে পর্তুগালের হার একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় এলসনিকের গোলে। পিটার স্টোয়ানোভিচের সঙ্গে ওয়ান খেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এলসনিক। ডান পায়ের জোরালো এক শটে নিশ্চিত করেন পর্তুগালের হার। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে ১৬ মাস পর হারতে হলো পর্তুগালকে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]