
ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হলান্ডকে পেছনে ফেলে টানা দ্বিতীয়বার ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি। এ নিয়ে মোট তৃতীয়বার পুরস্কারটি জিতলেন ৩৬ বছর বয়সী মেসি। প্রথমবার জিতেছিলেন ২০১৯ সালে। সবমিলিয়ে অষ্টমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় পুরস্কারটি নিজ হাতে নিতে পারেননি আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা। মেসির হয়ে পুরস্কারটি নিয়েছেন থিয়েরি অরি।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের কারণে গতবারের বর্ষসেরা পুরস্কারটি উঠেছিল মেসির হাতে। পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ে মেসি ৩২ ম্যাচে করেছেন ২৪ গোল।
২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ছেলেদের ‘দ্য বেস্ট’বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, সংবাদকর্মী ও বিশ্বব্যাপী ভক্তরা। শুরুতে ফিফা দ্য বেস্ট হওয়ার দৌড়ে ১২ জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা নেমে আসে তিনজনে।
বিশ্লেষকদের মতে এবার পুরস্কারটি জয়ে ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ভোটাভুটির মাধ্যমে ছেলেদের ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কারটি জেতেন মেসি।
ফিফার ওয়েবসাইটে লাইভ বিবরণীতে বলা হয়েছে, এবার পুরস্কারটি জিততে মেসির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বাকিদের। মেসি এবং হলান্ড দুজনেই সমান ৪৮ পয়েন্ট পেয়েছেন ভোটাভুটিতে। কিন্তু জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে প্রথম পছন্দের তালিকায় এগিয়ে থাকায় জয়ী হন মেসি। ফিফার ‘রুলস অব অ্যালোকেশন’ এর ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমবাপ্পে ৩৮ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় হন।
ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ এর পুরস্কার দিয়ে থাকে। ফিফার অ্যাওয়ার্ড চালু হয় ১৯৯১ সালে। সেসময় পুরস্কারটি দেওয়া হতো ‘ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়’ নামে। যা চলে ২০০৯ সাল পর্যন্ত।
এরপর ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে মিলে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি দেওয়া হয় ‘ফিফা-ব্যালন ডি’অর’ নামে। সবশেষ ২০১৬ সাল থেকে হয়ে আসছে ‘দ্য বেস্ট’।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]