বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। ২০০৬ সালে অভিষেকের পর থেকে ১৫ বছর ধরে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করেছেন হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অধিনায়কত্বও করেছেন বেশ কয়েকটি মেয়াদে।
ক্রিকেট থেকে অবসরের আগেই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে অভিষেক হচ্ছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। মাগুরা-২ আসন থেকে জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী এই ক্রিকেটার।
অন্যদিকে দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রীড়া-ব্যক্তিত্বের রাজনীতিতে আসার পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে, অদূর ভবিষ্যতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন তিনি। কিন্তু টাইগারদের পোস্টারবয়ের চাওয়া কিছুটা ভিন্ন রকম। মন্ত্রিত্ব চান না, বরং দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রিত সংস্থা-বিসিবির সভাপতি হতে চান সাকিব আল হাসান।
জাতীয় দৈনিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। সাকিবের মন্তব্য, দেশীয় ক্রিকেটে অবদান রাখতে বিসিবি বস হতে চান তিনি। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলে আমূলে বদলে দেওয়ার সুযোগ খুবই কম। আর সে জন্যই মন্ত্রিত্বে কোনো প্রকার আগ্রহ নেই তার।
তার ভাষ্যমতে, ক্রিকেটের প্রতি যেহেতু আলাদা ফিলিংস আছে, তাই ক্রিকেটের বাইরে কখনো চিন্তা করার সুযোগ হবে বলে মনে হয় না। যদি স্পোর্টসেই থাকতে হয়, তাহলে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো একটা জায়গা হতে পারে। এ পর্যন্ত ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো ভূমিকা দেখিনি, যার ফলে আমূল কোনো কিছুতে পরিবর্তন হয়েছে।
সাকিব যোগ করেন, ক্রিকেটে যেমন অনেক কিছুর পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। এটা যেহেতু একটি স্বাধীন সংস্থা, যদি পরিবর্তন করতে হয় বা কিছু পরিবর্তন করার থাকে, এখানেই অনেক বেশি আছে সেটা। তবে স্বাভাবিকভাবে অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথেও অনেক কিছুর সামঞ্জস্য হতে হয়। এগুলো আমার কাছে মনে হয় ঝামেলার ব্যাপার।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]