শিরোনাম
মেশিন নষ্ট: প্লাটিলেট পাচ্ছে না মিটফোর্ডের ডেঙ্গু রোগীরা!
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০১৯, ১৯:৩২
মেশিন নষ্ট: প্লাটিলেট পাচ্ছে না মিটফোর্ডের ডেঙ্গু রোগীরা!
আদনান সৌখিন
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য সময় সামান্য চিকিৎসাতেই ভালো হলেও এবার আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীরই রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে।


কিছু ক্ষেত্রে রক্তের প্লাটিলেট বিভাজন করে রোগীকে সাদা অংশ দেয়া হচ্ছে। রক্তের এ প্লাটিলেট বিভাজনের জন্য আছে আলাদা মেশিন। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালেও তেমনই একটি মেশিন রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মেশিনটি বিকল। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।



সরেজমিনে দেখা গেছে, যারা রক্ত পরীক্ষা বা প্লাটিলেট বিভাজনের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক যাচ্ছেন; তাদের বিকল্প হিসেবে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। মিটফোর্ডে সামান্য কিছু নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হলেও, বাকি কাজ করতে হচ্ছে অন্য হাসপাতালে।


ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন বিবার্তাকে বলেন,আমার মেয়ের জামাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনদিন ধরে এ হাসপাতালে ভর্তি। বেশি অসুস্থ হওয়ার চিকিৎসক রক্তের সাদা অংশ লাগবে বলে জানান। তার কথা মতো রক্ত সংগ্রহ করে প্লাটিলেট বিভাজনের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক গিয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হয়েছে, তারা রক্তের সাদা অংশ বিভাজন করতে পারবেন না। তাদের মেশিন নষ্ট।



জাহাঙ্গীর হোসেন বিবার্তাকে বলেন, তারা আমাকে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা শান্তিনগরের কোয়ান্টামে গিয়ে রক্তের প্লাটিলেট বিভাজন করে সাদা অংশ নিয়ে আসতে হবে। ব্যাপারটি আমার কাছে আশ্চর্যজনক ও কষ্টদায়ক মনে হয়েছে।


এ ব্যাপারে মিটফোর্ড হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিকেল বিভাগ ব্লাড ব্যাংকের প্রধান কর্মকর্তা ডা. দানিশ আরেফীন বিবার্তাকে বলেন, রক্ত পরীক্ষা ও প্লাটিলেট বিভাজনের মেশিন অনেক দিন ধরে নষ্ট। একবারই যে নষ্ট হয়ে আছে তা নয়। রক্তের প্লাটিলেট বিভাজনের মেশিন লোড নিতে পারে না। বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ দেখায়। বিষয়টা অনেকবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শিগগিরই ঠিক করা হবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগে এ ব্যাপারে একটি লিখিত দরখাস্তও দেয়া হয়েছে।



ট্রান্সফিউশন মেডিকেল বিভাগ ব্লাড ব্যাংকের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওয়াসিম বিবার্তাকে বলেন, মেশিনটা কতদিন ধরে নষ্ট তা আমি জানি না। আমি মাত্র কিছুদিন আগে এখানে বদলি হয়ে এসেছি। এসেই জানতে পারি, রক্ত পরীক্ষার ও বিভাজনের মেশিনে সমস্যা রয়েছে। ঠিকঠাক লোড টানতে পারে না।


বিবার্তা/আদনান/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com