শিরোনাম
শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম কাপড়ের দাম (১ম পর্ব)
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:০৫
শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম কাপড়ের দাম (১ম পর্ব)
আদনান সৌখিন
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে হঠাৎ করেই শুরু হয়েছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সেই শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সবাই ছুটছে গরম কাপড় কেনার দিকে।সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম কাপড়ের দামও। ফলে শীত ও সাধ্যের সাথে তাল মেলাতে পারছেন না অনেকেই। তবুও ঢাকার প্রায় সব মার্কেটেই মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।


শনিবার সরেজমিনে নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর ১০, গুলিস্তান ও সদরঘাট ঘুরে শীতের বাজারে ক্রেতার চোখে পড়ার মত ভিড় দেখা যায়।



রাজধানীতে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রি বেড়েছে


ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা শীতকালে নিত্যনতুন ফ্যাশনের সাথে ভিন্ন মাত্রার ফ্যাশনের মিশেল ঘটানোর সুযোগ পায়।এবারও শীতের পোশাকে এসেছে বেশ বৈচিত্র্য। পুরোনো ও নতুন ফ্যাশনের সংমিশ্রণে জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। শীতকে কেন্দ্র করে নানা রঙ আর ঢঙয়ের পোশাক আসে বাজারে। শীত নিবারণের হাজারো পোশাকে বাজার সরগরম। শীতের বাহারি কালেকশন নিয়ে এসেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোও। জ্যাকেট, ব্লেজার, সোয়েটার, হুডিতে যেমন রয়েছে ফ্যাশন বৈচিত্র্য তেমনি রয়েছে হাজারো রঙ।


শীতের শুরুর দিকে এই সব শীতের কাপড়ের দাম তুলনামূলকভাবে কম খাকলেও গত ৭ দিনে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ গতিতে। আবার অনেকেই তুলনামূলক কিছু কমে ও পছন্দমত কাপড় কিনতে ঢাকার বাইরে থেকে ভিড় করছেন শীতের কাপড়ের পরিচিত বাজারে। ঢাকার শপিং মলগুলোতে বা রাস্তার পাশে ফুটপাতগুলোতে সারি সারি পোশাকের দোকানগুলোর দিকে তাকালেই শীত নিবারণে পোশাকের প্রয়োজনের কথা মনে পড়ছে।


ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড থেকে শুরু করে ঢাকা কলেজ, নিউ মার্কেট এলাকা পর্যন্ত সব জায়গায় শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। রয়েছে ফুলপ্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট, মাফলার, হাতমোজা, পা মোজা, টুপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ও দামের কম্বল।


ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং মলগুলোতে দেখা যায় এসব পোশাক কিনতে সব ধরনের ক্রেতার ভিড়। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এসব শীতবস্ত্রের আবার রয়েছে শ্রেণিভেদ।



ফুটপাতে গরম কাপড়ের বাজার


ঢাকা কলেজের পাশেই চন্দ্রিমা মার্কেটের নিচে ফুটপাথ থেকে শুরু করে ভেতরে আলী ফ্যাশনের মত প্রায় সব শো-রুমেই রয়েছে বিভিন্ন দামের শীতের পোশাক। সেখানকার ব্যবস্থাপক আজগর আলী বিবার্তাকে বলেন, শীতের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পোশাক হুডিতে রয়েছে বিশেষ ছাড়। এছাড়াও অন্যান্য শীতের পোশাকের উপরও রয়েছে বিভিন্ন মাত্রায় মূল্যছাড়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাদের শোরুমে শীতকালীন পোশাক আসা শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন কালেকশন আসছে বলে জানান তিনি।



ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনছেন এক ক্রেতা


যেহেতু শীত এখন তীব্র তাই ক্রেতাও অনেক, তবে শীত কমে গেলে, ক্রেতার সংখ্যা তেমন বেশি হয় না। তবে খুব কমও না। তবে শীত ছাড়া অন্য সময়টায় তার দোকানে টি শার্ট-গেঞ্জিসহ বিক্রি হয় ছেলেদের নানা ধরনের পোশাক। ঠাণ্ডা আসার আগে থেকেই আমরা ফুলহাতার পোশাক আনা শুরু করি। প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হয় তবে ইদানিং তা ১৫ থেকে ২০ হাজারও হচ্ছে। বঙ্গবাজার ও গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার থেকে এই পোশাকের সংগ্রহ আসে বলে জানান আজগর আলী।


নানা ধরনের শীতের কাপড়ের পাশাপাশি শীতের আনুষঙ্গিক হিসেবে চাহিদা রয়েছে হাতমোজা, পা মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের টুপির। মার্কেট ঘুরে শীতের পোশাক কেনার পর টুপি-মোজার দোকানে এসেছিলেন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ফাতেমা ও তার বন্ধুরা। তিনি বিবার্তাকে বলেন, ভাই-বোন আর নিজের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম। সামনে কক্সবাজার কিংবা সাজেক যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তাই ভাবছি টুপি কেনা দরকার।



শীত বাড়ার সাথে রাজধানীতে গরম কাপড় বিক্রিও বেড়েছে


নূরজাহান শপিং কমপ্লেক্সের সোহানা গার্মেন্টসে সারা বছরই মেলে শীতের নানা ধরনের পোশাক। সোহানা গার্মেন্টেসের মালিক ফাহিম বলেন, দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে আট-নয় হাজার টাকা দামের পোশাকও পাওয়া যায় এখানে। বিশেষ করে ছেলেদের ফ্যাশনেবল হুডি, গেঞ্জি, প্যান্টের কালেকশন রয়েছে।


নুরজাহানের সামনে ফুটপাথে সারা বছর কাপড় বিক্রি করেন লিয়াকত মিয়া। তিনি বিবার্তাকে বলেন, শীত ছাড়া অন্য মৌসুমে যারা দেশের বাইরে যায়, তারা এখান থেকে গরম কাপড় কেনে। শীতকালে মোটামুটি সবাই ভিড় করেন এখানে। তবে গরমের চেয়ে শীতের দিনে আমাদের ব্যবসা ভাল হয়, বেচা কেনাও প্রচুর হয়।


বিবার্তা/আদনান/উজ্জ্বল/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com