মহান শিক্ষা দিবস
শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর পরামর্শ শিক্ষাবিদদের
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২৯
শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর পরামর্শ শিক্ষাবিদদের
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

১৭ সেপ্টেম্বর ‘মহান শিক্ষা দিবস’। ১৯৬২ সালের এই দিনে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে মাঠে নামে এই দেশের ছাত্রসমাজ। কিন্তু তাদের দাবিয়ে রাখতে তৎকালীন স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকারের নির্দেশে ছাত্রদের উপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। ফলে ওইদিন আন্দোলনে শহিদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকে। পরে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিনটি প্রতিষ্ঠা পায় ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে।


এরআগে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের মাত্র ২ মাস পর ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। শরীফ কমিশন নামে খ্যাত এসএম শরীফের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশন ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। যেখান থেকে শুরু হয় আপত্তি। কেননা, এই শিক্ষানীতি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য চরম বৈষম্যমূলক। নীতিমালায় শিক্ষাকে ধনিক শ্রেণীর জন্য সংরক্ষিত করে রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ছাত্র-শিক্ষকদের কার্যকলাপের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখার প্রস্তাব করে। শুধু তাই নয়, শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম করাতে ১৫ ঘণ্টা কাজের বিধান রাখা হয়েছিল। রিপোর্টের শেষদিকে বাংলা বর্ণমালা সংস্কারেরও প্রস্তাব ছিল। মোটকথা, শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করে সাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল আইয়ুব সরকার।


পরে চরম এই বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সদাজাগ্রত ছাত্রসমাজ ১৭ সেপ্টেম্বর (১৯৬২) হরতাল আহ্বান করে এবং এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পেশাজীবী, শ্রমিক, কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। সেই দিন ছাত্র-জনতার বিরাট মিছিলটি যখন হাইকোর্ট পার হয়ে আবদুল গণি রোডে প্রবেশ করে তখনই অতর্কিতভাবে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে তিনজন নিহত হয়। ওই দিন সারাদেশের মিছিলেও পুলিশ গুলি করে। তারপর থেকে দিনটি রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।


দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সময়ে বাঙালির যে সংগ্রামমুখর সময় কেটেছে, তার প্রতিটি পর্বই আমাদের নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জানানো দরকার। একইসাথে শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য নিয়ে শিক্ষার পরিমাণগত সম্প্রসারণের সাথে এর গুণগত মান বাড়ানো অর্থাৎ কারিগরি ও বাস্তবমুখী শিক্ষায় জোর দেয়ার কথা বলেছেন তারা।


মহান শিক্ষা দিবস নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিবার্তাকে বলেন, আমি মনে করি, ঔপনিবেশিক আমলে আমাদের উপর শাসকেরা যে শিক্ষানীতি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল, সেটা ছিল আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে নিশ্চিহ্ন করা অর্থাৎ আমরা যে স্বাধীন বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি সেটাকে নানা কৌশলে দমানোর চেষ্টা করেছিল। সেই কারণে ওই কুখ্যাত শিক্ষানীতি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর এ বিষয়ে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করলাম। ছাত্র-ছাত্রীরা জীবন দিল এবং এভাবে আমরা ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে পৌঁছলাম। এগুলো পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক আমলে এক একটি মাইলফলক, যেগুলো ধারাবাহিকভাবে একটার পর আরেকটা আমরা অতিক্রম করে এসেছি।


তিনি বলেন, এদেশের স্বাধীনতা তো রাতারাতি আসেনি। ঔপনিবেশিক আমল থেকে বাংলাদেশে পৌঁছতে প্রায় ২৪ বছর সময় লেগেছে। এই দীর্ঘ সময়ে বহু মানুষ বহুভাবে জীবন দিয়েছে। সেই কারণে আমাদের নবীন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে জানানো উচিত। পাকিস্তানি সময়ে বাঙালির যে সংগ্রামমুখর সময় কেটেছে, সেটার প্রতিটি পর্বই ছেলে-মেয়েদের জানানো দরকার। তাহলে তারা স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে।


ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বলেন, শিক্ষা যে মানুষের মৌলিক অধিকার, সেই শিক্ষার নীতির জন্যও মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। এই ধরণের সংগ্রামী ইতিহাস পৃথিবীতে খুব বেশি পাওয়া যাবে না। বাঙালি এই ধরণের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েও পিছু হটেনি।


তিনি বলেন, সেই সময়ে সাক্ষরতার হার অনেক কম ছিল। তখন বাঙালিদের অনেকে নিজে শিক্ষা নিতে পারে নাই অর্থাৎ নিজে নিরক্ষর থাকলেও পরবর্তী প্রজন্ম যাতে উপর্যুক্ত শিক্ষাটা পায়, সেই বিষয়ে তারা সচেতন ছিল। আর এ সচেতনতার কারণেই তারাই রাস্তায় নেমে এসে শিক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছে। এভাবে সেই পাকিস্তানিদের কুখ্যাত শিক্ষানীতি বাতিল করা হয়েছে।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বিবার্তাকে বলেন, শিক্ষা যে একটা অধিকার, সেই অধিকারের পূর্বশর্তগুলো পূরণ করার জন্য প্রত্যেক জাতির বা দেশের একটা শিক্ষা নীতি থাকা দরকার। কিন্তু পাকিস্তান আমলে যে নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছিল, তা মূলত বাঙালিদের কোণঠাসা করতে এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে রাখতে করা হয়েছিল ৷ ফলে এ নিয়ে সমালোচনা এবং এক পর্যায়ে আন্দোলন শুরু হয়। এ দিবসের মাধ্যমে শিক্ষার বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতে কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে সভা-সেমিনার, আলোচনা এগুলো হচ্ছে শিক্ষা দিবসের মূল পরিবর্তন।


তিনি বলেন, বাংলাদেশের মূল সমস্যাটা হচ্ছে- আমরা বলছি শিক্ষার হার বাড়ছে, অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বাড়ছে, শিক্ষার সম্প্রসারণও হয়েছে। কিন্তু মানগত যে পরিবর্তনের দরকার ছিল, সেটা আমরা এখনো করতে পারি নাই। কাজেই এটার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আমাদের কর্মমুখী শিক্ষা, জীবনমুখী শিক্ষা অর্থাৎ শিক্ষার সাথে কর্মের যে যোগসূত্র থাকা সেটা নাই। যারা উচ্চ শিক্ষিত তাদেরও অনেকে কর্মহীন। কাজেই আমি মনে করি, শিক্ষা দিবসের প্রেক্ষাপট এখনো বিদ্যমান আছে। আমরা এতো চেষ্টা করেও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত শিক্ষার যে বরাদ্দ অর্থাৎ জিডিপির ৬ শতাংশ এবং বাজেটের ২০ শতাংশ- তা দিতে পারি নাই। বাংলাদেশের এই বরাদ্দ জিডিপির ২ শতাংশের উপরে ওঠে নাই এবং একইসাথে বাজেটের ১২ শতাংশের আশেপাশে উঠানামা করছে। এছাড়া শিক্ষিত অনুপাতে শিক্ষা খাতের বরাদ্দের মিল নেই। জিডিপি বরাদ্দে আমাদের আশেপাশের দেশগুলো যেমন- আফগানিস্তান, নেপাল, ভূটানের চেয়েও আমরা পিছিয়ে।



সাবেক উপাচার্য বলেন, শিক্ষাখাতে যদি আমরা বিনিয়োগের করতে না পারি, ভালো সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করতে না পারি, ভালো শিক্ষক তৈরি করতে না পারি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত যদি ঠিক করতে না পারি তাহলে আমাদের শিক্ষা আগাবে না।


তিনি বলেন, আমরা অনেক উন্নয়ন করেছি। প্রচুর স্কুল-কলেজ স্থাপন করেছি। একইসাথে এটাও সত্য যে, এখনো প্রত্যন্ত অনেক অঞ্চলে বসার বেঞ্চ নাই, ঘর ভাঙা, খেলার মাঠ না থাকাসহ নানা সমস্যা বিরাজমান। এসব জায়গায় স্কুলকে আকর্ষণীয় করতে যা দরকার, তা দিতে পারি নাই। এদিকে করোনার কারণেও একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। অভাবের তাড়নায় অনেকে স্কুল ছেড়ে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছে। তারা আবার শিক্ষায় ব্যাক করতে অনেকক্ষেত্রে পারছেও না। দারিদ্র্যতা এখনো এদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। এখনো অনেক জায়গা আছে, যেখানের বাচ্চারা পেট ভরে খেয়ে স্কুলে আসতে পারে না। এটা নিয়ে এখন অবশ্যই পরিকল্পনা চলছে। ১০০ উপজেলায় দুপুরবেলায় বাচ্চাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাজেই আমি মনে করি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে বাচ্চাদের একবেলা পেট ভরে খেতে দিলে শিক্ষার্থী ড্রপ আউট কমে যাবে। একইসাথে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের মানগত গভীরতা বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার মান খুবই অপ্রতুল। সুযোগ- সুবিধাও তেমন নাই। সেই বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দিতে হবে।


ড. মীজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান বিতরণ করে না। কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য হলো- কলেজ জ্ঞান বিতরণ করে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান আহরণ ও বিতরণ করে। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ও কিছুটা পিছিয়ে আছে। বাজেট কম দেয়া, সুযোগ সুবিধা না থাকাসহ নানা কারণ এর পেছনে দায়ী। কাজেই সামনের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের বিজ্ঞান নির্ভর শিক্ষায় জোর দিতে হবে।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ বিবার্তাকে বলেন, পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন শিক্ষা সচিব ও আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক এসএম শরীফকে চেয়ারম্যান করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ছয় জন ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে চারজন সদস্য নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন যেটা 'শরীফ কমিশন' নামে পরিচিত। ওই কমিশন ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট প্রেসিডেন্টকে প্রদান করেন এবং সেটি ১৯৬২ সালে মুদ্রিত আকারে প্রকাশ হওয়ার পূর্বেই বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।


তিনি বলেন, শরীফ কমিশন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য ও স্বার্থকে সমন্বিত রেখে একটি অসম গণবিরোধী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। তথাকথিত সেই শিক্ষানীতির সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল- উচ্চ শিক্ষা শুধু উচ্চবিত্ত শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে শিক্ষাকে ব্যয়বহুল পণ্যে রূপান্তর করা। নিম্ন আয় থেকে সাধারণ মানুষের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ একেবারেই সংকুচিত করা। অবৈতনিক শিক্ষার ধারণাকে অবাস্তব কল্পনা বলে উল্লেখ করা। উর্দুকে জনগণের ভাষায় পরিণত করা। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ইংরেজি পাঠ বাধ্যতামূলক করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ইত্যাদি।


তিনি আরো বলেন, ১৯৬২ সালেই আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া শোষণ ও স্বার্থ বিরোধী শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটসহ আইয়ুব খানের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকে এবং সেটি সাধারণ জনগণের সমর্থনে ব্যাপকভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছড়িয়ে পড়ে। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। ওই দিন সকাল দশটায় হাজার হাজার মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবেশে উপস্থিত হন এবং সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়।


অধ্যাপক ড. পারভেজ সাজ্জাদ বলেন, সেদিন জগন্নাথ কলেজে গুলি হয়েছে এমন গুজব শুনে মিছিলটি হাইকোর্টের সামনে দিয়ে আব্দুল গনি রোডে প্রবেশ করলে পিছন থেকে পুলিশ গুলি করে। ফলে তাৎক্ষণিক ভাবে শহিদ হন গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকে। বহু ছাত্র-ছাত্রী হতাহত হন, আহত ওয়াজিউল্লাহ পরের দিন মৃত্যুবরণ করেন। গ্রেফতার করা হয় ৫৯ জনকে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র ও জনগণের মধ্যে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে চেতনা আরো পরিস্ফুটিত হয়। সেই থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর দিনটিকে মহান শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন‌গুলি।


এই শিক্ষাবিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তাঁরই কন্যার নেতৃত্বে আমাদের বৈষম্যহীন উচ্চশিক্ষা, বিনামূল্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বই বিতরণ, বৃত্তি প্রদান, অবৈতনিক শিক্ষাসহ প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের দিনগুলির মধ্যে এই ১৭ সেপ্টেম্বর দিনটি আমরা বিশেষভাবে স্মরণে রাখব।


বিবার্তা/ রাসেল/ রোমেল/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com