এসেনসিয়াল ড্রাগসের নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনে গণ্ডগোল
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ১০:৩৫
এসেনসিয়াল ড্রাগসের নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনে গণ্ডগোল
সানজিদা আক্তার
প্রিন্ট অ-অ+

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এর নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ শুরুতেই বড় হোঁচট খেলো। এর ফলে নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগে যেমন ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে তেমন গোপালগঞ্জে কারখানা স্থাপনের মতো দীর্ঘসূত্রিতার আশঙ্কা করছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত কাজ শুরু না হলে এতে খরচও বাড়বে কয়েকগুণ।


সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের কারখানা তেজগাঁও থেকে মানিকগঞ্জে স্থানান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে৷ সেখানে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্ল্যান্ট নির্মাণে এক হাজার ৯০৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।


সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির জায়গা ঢাকায় হচ্ছিল না বলে নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় সাড়ে ৩১ একর নিচু জমি নির্বাচন করা হয়েছে। অধিগ্রহণ করার সম্ভাবনায় প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একটি মহল ওই নিচু জমি ভরাট করে ভিটার মূল্যহারে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ছক কষছে বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে ওই জমি অধিগ্রহণ করা হলে পাশের জমির তুলনায় সরকারকে কয়েক গুণ টাকা বেশি গুনতে হবে। এভাবে জমি অধিগ্রহণ থেকেই প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতানোর পায়তারা চলছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।


ইডিসিএল সূত্রে জানা যায়, চাহিদা থাকলেও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো তেজগাঁওয়ের কারখানাটি জমির স্বল্পতা এবং সরকারের নীতিমালার কারণে সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সিজিএমপি অনুসরণ করে গুণগত মানের ওষুধ উৎপাদনে সরকারি খাতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য কারখানা স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় এসেনসিয়াল ড্রাগস কর্তৃক সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য একনেক-এ অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়।


এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরকারের চিকিৎসা সেবা বাড়বে। ওষুধ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে ঔষধের আমদানি কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব হবে।


অন্যদিকে জমি অধিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইডিসিএল এর প্লান্ট স্থাপন প্রকল্প এলাকা
দুদকের প্রধান কার্যালয় হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয় গত ২৯ মে। অভিযানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কমিশন বরাবর রিপোর্ট দাখিল করা হবে বলে বিবার্তাকে জানায় দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আরিফ সাদেক।


তবে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার পরও দুদক এ বিষয়ে বিবার্তাকে তাদের সংগৃহীত তথ্যের বিস্তারিত জানায়নি ।


দেশের অভ্যন্তরীণ ওষুধের চাহিদা পূরণ এবং বিদেশে ওষুধ রপ্তানির লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালে ইডিসিএল প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, বগুড়া ও গোপালগঞ্জের তিনটি ওষুধ উৎপাদনকারী ইউনিট থেকে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর (সিএমএস) ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ওষুধ সরবরাহ করে। এ ছাড়া ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইসিডিডিআরবি ইডিসিএল থেকে ওষুধ কিনে থাকে।



অন্যদিকে মানিকগঞ্জে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণে ‘কারসাজি’র চেষ্টা আটকে দেয়া জেলা প্রশাসকের অপসারণে দাবি জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল জেলা ছাত্রলীগ। অন্যথায় ডিসির কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দেন ছাত্রলীগের নেতারা।


গত ২৮ মে দুপুরে জেলা শহরে আয়োজিত এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই হুমকি দেন। শহরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে জেলাবাসীর ব্যানারে এই সমাবেশে আয়োজিত হয়।


জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরের মেঘশিমুল এলাকায় এসেনশিয়াল ড্রাগসের জন্য জমি অধিগ্রহণের নামে কারসাজি চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। কারখানার জন্য সাড়ে ৩১ একর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে কয়েক গুণ বেশি দামে অধিগ্রহণের চেষ্টা চলছিল। এতে সরকারের কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন।


এর প্রতিবাদে গত ২৫ মে জেলা শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। ওই কর্মসূচি থেকেই ২৮ মে জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের করে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল জেলা ছাত্রলীগ।


সমাবেশে জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী ওরফে সুমন বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে ১০ কোটি টাকার মাটি কাটা হয়েছে। আপনারা এই টাকার ভাগ পান। প্রত্যেক ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) সরকারিভাবে সেখান থেকে চাঁদা তোলেন। সব নথি আছে, সব প্রমাণ আছে। আমরা এসব নথিপত্র ও প্রমাণ এক জায়গায় করছি। আগামী ৭২ ঘণ্টার ভেতরে ডিসি প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করব, তালিকা প্রকাশ করব। সেই সঙ্গে কোন উপজেলা থেকে কত মাটি কেটে নিয়েছেন, আমরা সেগুলো প্রমাণসহ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।’


সিফাত কোরাইশী আরও বলেন, ‘আপনি যদি স্ব-ইচ্ছায় মানিকগঞ্জ থেকে যেতে না চান, আপনার অফিস ঘেরাও কর্মসূচি দেব। মানিকগঞ্জের মানুষের সঙ্গে আপনি ছিনিমিনি খেলতে পারেন না। আমরা আপনাকে এই ছিনিমিনি খেলতে দেব না। এ কথাটি মনে রাখবেন।’


ছাত্রলীগ নেতা কোরাইশী বলেন, ‘আমরা শত বছরের বন্ধকতা ঘুচিয়ে একজন মন্ত্রী পেয়েছি, সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী পেয়েছি। যাঁর নেতৃত্বে মানিকগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আপনি ডিসি, এর আগেও সরকারি কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করেছেন। আপনারা টাকা না পেলে উন্নয়নকাজ করতে দেন না।’


সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেন দলীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।



জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে বিবার্তাকে বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্ত দেবে।


মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ডিসির পাঠানো প্রতিবেদন নোট আকারে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নজরে আনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এ বিষয়ে অভিমত ও নির্দেশনা চাওয়া হলে মন্ত্রী গত ২০ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে জানান, ইডিসিএলের বর্তমান শিল্পটি প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো ও ভঙ্গুর। জীর্ণ অবকাঠামোর কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে নতুন কারখানা স্থাপনে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) প্রণয়ন ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে স্থান নির্বাচন করা হয়। সম্পূর্ণ অকৃষি জমি চিহ্নিত করে পিপিপি প্রস্তুত ও একনেকে উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্প পরিচালক ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে ভূমি অধিগ্রহণে অনুরোধের পরেও ছয় মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে। এমনকি জমি অধিগ্রহণে ৪ ধারায় নোটিশ জারি করা হয়। মন্ত্রীর মতে, ৪ ধারায় নোটিশ জারির পর ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।


ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা এহসানুল কবির জগলুল বিবার্তাকে বলেন, অভিযোগ আসতেই পারে, তদন্তের পরেই বোঝা যাবে।


স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক তার জনসংযোগ অফিসের মাধ্যমে বিবার্তাকে জানান, যে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়নি,সেখানে দুর্নীতি করার সুযোগ হয় কীভাবে।


'শত কোটি টাকার লুটের অভিযোগ পদ্মা সেতুর মতো হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, সবকিছু হবে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে।'


জানা যায়, ইডিসিএলের নতুন ওষুধ উৎপাদন প্ল্যান্ট স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় ২০২১ সালে। এটি প্রকল্প আকারে একনেকে উপস্থাপন করা হয় এবং ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি অনুমোদন করেন।


গোপালগঞ্জের কারখানা: তিন বছরের প্রকল্প শেষ হয়নি এক যুগেও


জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে ২০১০ সালে গোপালগঞ্জে একটি কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয় এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। উদ্দেশ্য ছিল, পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে সহায়তা করতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ও আইডি ফ্লুইড ধরনের ওষুধ উৎপাদন। দুই বছর নয় মাসের মধ্যে কারখানা স্থাপনের কথা থাকলেও কেটে গেছে এক যুগ। তবু হয়নি কারখানা স্থাপন। বরং এই এক যুগে চার দফায় বেড়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয়। দ্বিগুণের বেশি হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ। এবার পঞ্চমবারের মতো মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি। তবে বর্ধিত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করতে সতর্ক করেছে পরিকল্পনা কমিশন।


প্রকল্পের নথি থেকে জানা গেছে, ‘গোপালগঞ্জ এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩১৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। পরে বিভিন্ন কারণে দুবার প্রকল্প সংশোধন করা হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় গিয়ে দাঁড়ায় ৭৯৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকায়। পাশাপাশি চারবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।


সবশেষ পঞ্চমবার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবনায় ইডিসিএল বলেছে, করোনার কারণে বিদেশি যন্ত্রপাতি, প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানরা আসতে না পারায় নির্ধারিত সময়ে যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও সংযোজন করা যায়নি। তাই যন্ত্রপাতি সংযোজনের পর ভ্যালিডেশন, ব্যালেন্সিং এবং কোয়ালিফিকেশনের জন্য আরও ১২ মাস সময় প্রয়োজন।


এদিকে বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করার শর্তে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর সভায় সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। শর্ত পরিপালনপূর্বক ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করার পক্ষে মতামত দিয়েছে কমিশন। সেইসঙ্গে বাকি কাজ শেষ করতে কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।


ইডিসিএল সূত্রে জানা গেছে সাড়ে ৬ একর জমি অধিগ্রহণ জটিলতার জট খুলতেই দুই বছর চলে গেছে। জমির অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। যা পরবর্তীতে সমন্বয় করার শর্তে এরইমধ্যে ব্যয় হয়েছে। ওই টাকা ইডিসিএলের নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করা হয়েছে বলেও জানান এমডি ডা. জগলুল।



এমডি জানান- ভ্যাকসিন কারখানার জন্য যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তাতে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি সরকারকে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দিতে বললে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়। পরবর্তীতে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকায় ফিনল্যান্ডের একটি কোম্পানিকে ডিপিপির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য একটা কারখানা করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। এখানে বিশাল কর্মযজ্ঞ আছে। কারখানা স্থাপনের জন্য জমির পাশাপাশি টাকারও প্রয়োজন আছে। এজন্য যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তাতে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এডিবি। এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।


বিবার্তা/সানজিদা/রোমেল/কেআর


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com