রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কিছুদিন ধরে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে খুচরা বাজরে দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কিছুদিন আগেও ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। ঈদুল আজহার পর থেকে দিনে দুই-এক টাকা কেজিপ্রতি ওঠানামা করলেও পেঁয়াজের দাম প্রায় স্থিতিশীল। তবে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী দিনে পেঁয়াজের দাম কেমন হবে- সেটাও নির্ভর করছে আমদানির ওপর।
সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ান বাজের দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ (পাইকারি) ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা কেজি। এসব পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বিবার্তাকে বলেন, আমরা তো মধ্যস্থতাকারী। আমাদের যে দামে কিনতে হয়, তার থেকে দুই চার টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে হয়। এর বেশি কিছু আমাদের করার নেই। আগামীতে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে; আবার বাড়তেও পারে। এখন সেটি নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, কাঁচামাল আমদানির ওপর নির্ভর করে। যদি আমদানি ভালো হয় তাহলে দাম কমে আর আমদানি ভালো না হলে দাম বেড়ে যায়।
এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রয়োজনের চেয়ে বাজারে যোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে। যোগান বেশি হলে দাম কমে আসবে। একইভাবে যদি যোগান কমে যায়, তাহলে দাম আরো বেড়ে যাবে।
মামুনুর রহমান নামের এক ক্রেতা বিবার্তাকে বলেন, সাধারণত কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়। এবার ঈদের আগে বৃদ্ধি পায়নি। যে কারণে মনে করেছিলাম এ বছর পেঁয়াজের দাম কম থাকবে। কিন্তু ঈদের পরই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে কী হবে সেটা বলতে পারছি না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক মাসে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের বাজারেও দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে শতকরা ৫০ ভাগ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক হিসাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত উৎপাদন হয়েছে। যার কারণে পেঁয়াজের আমদানিনির্ভরতা খুব একটা নেই। তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করে- উল্লেখ করে বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতে দাম বৃদ্ধির সুযোগে দেশের বাজারে কেউ যাতে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়াবেন তারা।
অন্যান্য সবজির বাজারে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মরিচ ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শিমের দামও বেশ চড়া। প্রতি কেজি বিক্রি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। এছাড়া পটল ৪০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা কেজি, শশা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, গাজর ৮০ টকা কেজি, টমেটো ১০০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৪০ টাকা কেজি, মুলা ৪৫ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা কেজি, মুখিকচু ৪০ টাকা কেজি, আদা ১২০ টাকা কেজি, রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ আকার ভেদে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পিস এবং চালকুমড়া আকার ভেদে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বিবার্তা/আকরাম/উজ্জ্বল/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]