
কোটা সংস্কার আন্দোলনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত-শিবির ও দেশি-বিদেশি অপশক্তি সারাদেশে ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টি করেছে। আবু সাঈদসহ অনেক তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে রুখতে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত-শিবিরসহ কুচক্রীমহল শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশব্যাপী সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার মাধ্যমে তারা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার সকল পরিকল্পনা করে।
আতঙ্ক ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে সারা দেশে তারা সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। ধ্বংস করে ফেলে উন্নয়ন অবকাঠামো ও ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, ডিজিটাল ডাটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।
হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করে। অস্ত্র লুটসহ জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
জনজীবন বিপন্ন ও দূর্বিষহ করে তুলে এবং পুলিশ, সাংবাদিকসহ কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করে। আমরা এই ধরনের দেশবিরোধী কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
১/১১-এর সময় ড. ইউনুস দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন এবং তিনি আজও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
মূলত: দেশি-বিদেশি অপশক্তির উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে চিরদিনের জন্য উৎখাত করা। আর উৎখাত করতে পারলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশের উন্নয়ন, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে ফেলা সহজ হবে বলেই তারা বিশ্বাস করে।
আমরা অনাকাঙ্খিত ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, রাষ্ট্রবিরোধী, অগ্নি-সংযোগকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিএনপি-জামাত-শিবির এর তান্ডব সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিদানকারীগণ (জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়)
১. মো. মশিউর রহমান
সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত),
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি
এবং
সাধারণ সম্পাদক
বঙ্গবন্ধু পরিষদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
২. অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়। সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
৩. রোকনরুজ্জামান জুয়েল
সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নীলফামারী জেলা।
৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. জোনাব আলী
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নীলফামারী জেলা
১০. এড.আবু আবদুল্লাহ কনক
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা।
১০. সনজীবন কুমার দেব (রকি)
সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা।
১১. এড. মো: আবু জাফর শাম উদ্দিন
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঠাকুরগাঁও জেলা। ১২. মো: আবুল কালাম আজাদ
সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঠাকুরগাঁও জেলা।
১৩. বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ লাল সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কুড়িগ্রাম জেলা। ১৪. ছানা লাল বকশি
সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কুড়িগ্রাম জেলা।
৫. এড.রফিক হাসনাইন
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ রংপুর জেলা ৬. আফরোজা শারমিন কণা।
সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ রংপুর জেলা।
৭. ডা: আহাদ আলী
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, দিনাজপুর জেলা।
৮. মো: শফিকুল ইসলাম
সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, দিনাজপুর জেলা।
৯. অধ্যাপক হাসনুর রশিদ বাবু
৯. এড.নুরুল হুদা
সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা।
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা।
১৫. বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মন্ডল
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, লালমনিরহাট জেলা। ১৬. ফেরদৌসি বেগম (বিউটি)
সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, লালমনিরহাট জেলা।
১৭. সৌরভ পাল চৌধুরী
সদস্য সচিব, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]