জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ (সোহেল তাজ)।
২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বর থেকে জাতীয় সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি। সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জেল হত্যার শিকার জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান।
সোহেল তাজের দাবিগুলো হলো- ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ায় ওই দিনকে 'প্রজাতন্ত্র দিবস' ঘোষণা করা; ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
এর আগে গত বছরও তিন দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলেন সোহেল তাজ। ওই দিন মানিক মিয়া এভিনিউতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পদযাত্রা শেষে এই স্মারক পৌঁছে দেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দ জোহরা তাজউদ্দীনের ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালের ভোটের পর সরকার গঠনের সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
তবে পাঁচ মাস পরই পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। তারপর রাজনীতি থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। তার সংসদীয় আসনে (গাজীপুর-৪) এখন সংসদ সদস্য তার বোন সিমিন হোসেন রিমি। রিমি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
বিবার্তা/সোহেল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]