শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বেঁচে থাকবেন ইতিহাসের সাহসী নারী হয়ে: শেখ পরশ
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ২০:৩৪
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বেঁচে থাকবেন ইতিহাসের সাহসী নারী হয়ে: শেখ পরশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ফাস্ট লেডি হওয়া সত্ত্বে অতি সাধারণ জীবন যাপন ছিল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের। আজন্ম কষ্ট, বঞ্চনা এবং বিয়োগব্যথা তাকে এক অসাধারণ মানবিক ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করেছিল। তার কোন জৌলুস ছিল না, ছিল না কোন চাকচিক্য, অতি সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। তার চাল-চলনে ছিল শাশ্বত বাঙালির মধ্যবিত্ত নারীর আট পৌর রূপ। ছিল না কোনো লোভ-লালসা বা সখ-আহ্লাদ। জীবনে কোনো কিছু আবদার করে নাই স্বামীর কাছে বা শ্বশুরের কাছে। নিভৃতে সকল কষ্ট সহ্য করেছেন।


৮ আগস্ট, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়লক্ষ্মী নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বঙ্গমাতাকে কাছ থেকে দেখার সামান্য সৌভাগ্য হয়েছে আমার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সেই মানবিক ও চারিত্রিক গুণাবলি দেখে আমরা বিমোহিত হই, তার সবগুলো গুণাবলি অর্জন করেছেন তার মাতা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব থেকে।


তিনি বলেন, যুদ্ধ পরবর্তীকালে বঙ্গমাতা দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে কাজ করেছেন, গরীব-এতিম-অসহায় মানুষদের সাহায্য করেছেন, স্বাধীনতোত্তর বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসনে তিনি বিশেষ অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা।


তিনি বলেন, বীরাঙ্গনাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার মতো মহৎ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। শিশুদের প্রতিও ছিল তার অগাধ ভালবাসা। আমি মনে করি এই সকল মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং সক্রিয় করে তুলেছিলেন। আওয়ামী লীগের কোন নেতা-কর্মীর অসুখ-বিসুখ হলে তাকে সাহায্য করা, যারা বন্দি তাদের পরিবারগুলো দেখা, কার বাড়িতে বাজার হচ্ছে না, তার খোঁজ-খবর নেওয়া, প্রয়োজনে নিজের গহনা বিক্রি করে নেতা-কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।


তিনি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের একটি মন্তব্য উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমাদের সময়ের খনা, এই সময়ের বেগম রোকেয়া, এই সময়ের চন্দ্রাবতী।


তিনি আরও বলেন, আমাদের বঙ্গমাতার সুমহান ব্যক্তিত্ব ও অপরিসীম ত্যাগের সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশমাতৃকার প্রতি নির্মোহ চিত্তে আত্মনিবেদনের তাড়নাকে জাগ্রত করা প্রয়োজন। বঙ্গমাতার অবদান আরও বেশি প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম ও ত্যাগের মহিমা তুলে ধরে তার আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া এখন সময়ের দাবি। পরিশেষে বলতে চাই-সেই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, যার অন্যতম হোতা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ’৭৫ এ নির্বিচারে নারী-শিশু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল বাঙালি জাতির উপর। কাজেই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার আজ এই প্রজন্মের সময়ের এবং নৈতিক দাবি। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এবং অচিরেই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।


প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের সমন্বায়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. তারানা হালিম। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের সমন্বায়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, মানুষের পিছুটানে যদি বাধা না থাকে, সংশয় না থাকে তাহলে তার জন্য যে কোন কাজ করা সহজ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতাকে সেরকম মানুষই পেয়েছিলেন। বঙ্গমাতা কখনও বঙ্গবন্ধুর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াননি এবং তিনি সাংসারিক সকল দায়দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথ চলা মসৃণ হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধু যে অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখেছিলেন। এই আত্মজীবনী লেখার পেছনে প্রেরণা ছিল বঙ্গমাতার। বঙ্গবন্ধু তখন জেলে। বঙ্গমাতা খাতা-কলম নিয়ে জেলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে বলেছিলেন বসে বসে লিখো।


তিনি আরও বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সফলতা থেকে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার পিছনে বঙ্গমাতার অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, অনেক নেতার সন্তান বিদেশে লেখাপড়া করেছে কিন্তু একজন শেখ মুজিবের সন্তানেরা এদেশের মাটিতে লেখাপড়া করেছে। আজকে বঙ্গমাতার জন্মদিনে বলতে চাই-আদর্শকে বুকে ধারণ করে জাতি যেন আরও অনেক দূর এগিয়ে যায়।


সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মণি এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ পথপরিক্রমায় থেকে থেকে জাতির পিতা হওয়ার পিছনে যে মানুষটির সবচেয়ে বেশি অবদান তিনি হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ৬ দফার সময় যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়, সেই সময় তিনি কীভাবে দল চালিয়েছেন, নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন তা সত্যিই অভিভূত হতে হয়। একজন সাধারণ নারী থেকে আওয়ামী লীগের মতো এত বড় একটি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সকল ক্ষেত্রে একত্রিত রাখা সত্যিই তাঁর নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় গুণ।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে দেশকে ভালোবেসেছিলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে দেশকে সেভাবেই ভালোবেসেছিলেন। আমরা বঙ্গমাতার কাছ থেকে শিখতে পারি কীভাবে আদর্শগতভাবে সৎ থাকতে হয়, কীভাবে করুন দুঃসময়ে অবিচল থেকে মোকাবিলা করতে হয়।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. তারানা হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় এমন একজন জীবন সঙ্গীকে পেয়েছিলেন যিনি সর্বদা বঙ্গবন্ধুর পাশে ছায়ার মতো ছিলেন। ১৯৪৭-১৯৭১ বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি সংগ্রামের পাশে ছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি আড়ালে থেকে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। বঙ্গমাতা শুধু জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী ছিলেন না, মরণেও তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন।


তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন-আপনারা আগস্ট মাসে প্রোগ্রাম করেন বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন, বঙ্গমাতাকে স্মরণ করে। তা না হলে এই বাংলার মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না।


সঞ্চালকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে যে মানুষটির নাম জড়িত, সে মানুষটি সত্যিকার অর্থেই এক দিকে দেশপ্রেমিক, মানব প্রেমিক, যে মানুষ নিজের ভোগ বিলাসের কথা চিন্তা না করে দেশ ও জাতির জন্য সর্বদা বঙ্গবন্ধুর পাশে একই সমান্তরালে কাজ করে গেছেন তিনি হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু প্রশ্নবিদ্ধ হোক, মানুষের কাছে ছোট হোক এমন কাজ বঙ্গমাতা কখনই করেন নি। বঙ্গমাতার ধৈর্য, সাহসিকতা আর প্রচেষ্টার কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ সহজ হয়েছিল। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে তার অবদান জ্বলজ্বল করছে।


তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন-আমরা একটি যুদ্ধে নেমেছি, সেটি হলো ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি, ’৭৫-এর খুনি চক্র, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট যারা গ্রেনেড হামলা করেছিল, ২০০৫ সালে যারা সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল, যারা দেশ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ। এই যুদ্ধ হলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে, দেশকে এগিয়ে নিতে।


এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম মিল্টন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মাহফুজার রহমান উজ্জ্বল, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলি, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণা বৈদ্য, উপ-মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমিনসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।


বিবার্তা/সোহেল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com