বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না: শেখ পরশ
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:০৪
বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না: শেখ পরশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি এখন চাচ্ছে লাশের রাজনীতি করতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি বিভিন্ন অপচেষ্টা করবে। তারেক জিয়া চাচ্ছেন, বাংলাদেশে যাতে নির্বাচনটা না হয়। কারণ, তিনি মানি লণ্ডারিং মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা তার বিরুদ্ধে চলছে। তিনি জানেন, সঠিক নির্বাচন হলে ১৫১ সিট তাঁরা পাবেন না। তাই তারা লাশের রাজনীতি করে নির্বাচন বানচাল করতে।



পরশ বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, নির্বাচন হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই এবং নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটা অবাধ, নিরপেক্ষ এবং যথাযথ পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। কোনো বিদেশী প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না।


১৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর ও ১১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ‘পদযাত্রা’র নামে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের উপর হামলা, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসহ গাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করা হয়। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।



শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বিএনপির পদযাত্রায় কোন জনসম্পৃক্ততা নাই, কারণ জনগণের উপর তাদের অত্যাচারের কথা জনগণ ভুলে নাই। ২০১৪ সালের অগ্নিসংযোগের কথা জনগণ ভুলে নাই। সার ও বিদ্যুতের জন্য কৃষকদের উপর গুলির কথা জনগণ ভুলে নাই। এজন্য তারা হতাশায় ভুগেছে এবং সেই হতাশা থেকে তারা দিক বিদিক হারিয়ে ফেলেছে। তাদের সন্ত্রাসী চেহারা বের হয়ে আসছে। আসলে কিছু কিশোর গ্যাং এবং শিবিরের কর্মী দিয়ে তাদের মিছিল-মিটিং গরম করবে আর কত দিন?


তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃত্বের প্রতি জনগণের কোন আস্থা নাই। কারণ তারা প্রতারক গোষ্ঠী, জনগণের ভোট পাইলে জনগণকে ভুলে যেতে তাদের দুই সেকেন্ডও লাগে না।


যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আমি আহ্বান করতে চাই আপনাদের কাছে এবং একই সাথে বিএনপির নেতৃবৃন্দদেরকেও চ্যালেঞ্জ করতে চাই যে অনুগ্রহ করে ২০০১ সালে তাঁদের নির্বাচনী ইশতিহার বের করে দেখান কয়টা ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা পূরণ করেছিলেন। তাহলেই প্রমাণিত হয়ে যাবে যে তারা প্রতারণার রাজনীতি করে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের রাজনীতি করে। তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণের পাশে থাকার কাজ অব্যাহত রাখব এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপোসহীন, ভ্যানগার্ড হিসেবে আমরণ সজাগ এবং সরব দৃষ্টি রাখব এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করবো।



এসময় তিনি বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের উপর হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, বিকাল ৩টায়, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রতিবাদ সমাবেশ। ১৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, বিকাল ৪টায়, ফার্মগেইট যুবলীগ চত্বরে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের প্রতিবাদ সমাবেশ। ১৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার, ঢাকা মহানগর ব্যতীত দেশের সকল বিভাগীয় শহরে প্রতিবাদ সভা।


এছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার দেশের প্রতিটি উপজেলা/থানা ও পৌরসভায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল। ২০ ফেব্রুয়ার, সোমবার, দেশের প্রতিটি জেলায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ঢাকা মহানগরে জাতীয় সংসদের আসন ভিত্তিক এবং দেশের সকল মহানগরের প্রতিটি থানায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল।



সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত একটি জঙ্গি সংগঠন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠন দেশকে ভালবাসে না, দেশের মানুষকে ভালবাসে না। এই সংগঠন যখনই রাজপথে এসেছে তখনই মানুষের জানমালের উপর হামলা হয়েছে। বিএনপি যেকোন সময় মানুষের উপর হামলা করে জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে। তাদের অতীত ইতিহাস সে কথাই বলে। ’৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাদের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হোতা বিএনপি তারেক জিয়া তাদের শাসন আমলের ভয়াবহ ইতিহাস বাংলার মানুষ জানে। আমরা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ জনগণের জানমালের সম্পদ রক্ষায় ঢাল হয়ে রাজপথে থাকবো যেন, বিএনপি জামাত মানুষের উপর হামলা করতে না পারে। আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি মাঠে না থাকে বিএনপি-জামাত মাঠে এসে জনগণের উপর হামলা করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। আমরা যুবলীগ আজ শপথ করে বলতে চাই প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে সেই অগ্রযাত্রা বিএনপি-জামাত রুখতে পারবে না। জীবন দিয়ে হলেও আমরা যুবলীগ রাজপথে থেকে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মোকাবিলা করবো।



এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহা: বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিস মিয়া শেখ সগর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আবদুর রহমান, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।


বিবার্তা/সোহেল/জামাল


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com