
প্লেনে যাতায়াত করার বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে। তার মধ্যে অন্যতম হল প্লেনে উঠে নির্দিষ্ট আসনে গুছিয়ে বসে, সিটবেল্ট শক্ত করে বেঁধে নিয়ে ফোনের ‘ফ্লাইট মোড’ চালু করে দেওয়া। প্রায়শই যাঁরা বিমান সফর করেন, তাঁরা বিষয়টিতে অভ্যস্ত। তবে নতুনদেরও ভুল হওয়ার উপায় নেই। কারণ প্লেনের সেবিকারা ফোনে ‘ফ্লাইট মোড’ চালু করার কথা ঘোষণা করেন। ‘ফ্লাই়়ট মোড’ চালু হওয়ার পর কাউকে ফোন কিংবা মেসেজ করার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি ইন্টারনেটও কাজ করে নার
প্লেনে উঠে নিয়মমাফিক এ সব তো করেন, কিন্তু কী জন্য করেন, তা অনেকেই জানেন না। জানতে চান?
১. প্লেনে সফরের সময়ে মোবাইল চালু করে রাখলে প্লেনের নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি হতে পারে। মোবাইলে ‘ফ্লাইট মো়ড’ চালু না থাকলে প্লেনচালকের সমস্যা হতে পারে। প্লেন চালানোর সময়ে পাইলট সর্বদা কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই পরিস্থিতিতে ফ্লাইট মোড চালু রাখলে পাইলটদের সুবিধা হবে। মোবাইল ফোনের সঙ্কেত প্লেনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। যে কারণে প্লেন ভুল পথে যাওয়ার বা কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
২. মোবাইল চালু থাকলে, তার থেকে নির্গত তরঙ্গ অন্যান্য স্থানের সঙ্গে সংযোগ করতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে প্লেনের রেডিও স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই প্লেনে উঠেই ‘ফ্লাইট মোড’ চালু করে দেওয়া জরুরি।
৩. ফোনে টুং-টাং করে সারা ক্ষণই নানা নোটিফিকেশন ঢুকতে থাকে। ‘ফ্লাইট মো়ডে’ রাখলে সে সব আর আসতে পারে না।
৪. ‘ফ্লা়ইট মোডে’ রাখার বেশ কিছু সুবিধার মধ্যে একটি হল চার্জ হতে বেশি সময় না নেওয়া।
৫. প্লেনে যাতায়াতের সময় ফোনটি সচল রাখা জরুরি, আবার বেশি ব্যবহার করলে চার্জও চলে যায়। ফ্লাইট মোডে রাখলে সেই অসুবিধে অনেকটাই দূর হয়।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]