পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে হাতি সাফারি হয়। কোন কোন জঙ্গলে গেলে হাতির পিঠে চড়তে পারবেন, তা জেনে নিন।
১) কাজিরাঙা
আসামে যাবেন আর কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ঘুরবেন না, তা হয় না। চাইলে অবশ্য নামেরিতেও যাওয়া যায়। বিশেষ করে যদি হাতি সাফারি করার ইচ্ছে থাকে, তা হলে তা পূরণ হয়ে যেতে পারে এখানেই। ট্রেন বা বিমানে গুয়াহাটি পৌঁছে, সেখান থেকে বাসে বা গাড়িতে কাজিরাঙা পৌঁছনো যায়। সময় লাগবে ঘণ্টা চারেক। এখানে হাতি এবং জিপ সাফারির রাস্তা আলাদা। তাই দুটোর অভিজ্ঞতা অবশ্যই দু’রকম। হাতি সাফারি হয় মূলত ভোরবেলা। খুব সামনে থেকে গন্ডার, বুনো শুয়োর, বিভিন্ন পাখি, বাফেলো, হরিণ দেখতে চাইলে হাতি সাফারির কোনও বিকল্প নেই। ইন্টারনেটে কাজিরাঙা অনলাইন সাফারি লিখলেই বুকিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
২) জলদাপাড়া
জলদাপাড়া ভ্রমণ নিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কারণই হল হাতি সাফারি। জিপের পাশপাশি এখানে দিনে দু’বার হাতি সাফারিরও ব্যবস্থা থাকে। পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করতে হয় এই সব সাফারিগুলি। হরিণ, বুনো হাতি, বাফেলো, বুনো শুয়োরের পাশাপাশি কপাল ভাল থাকলে চিতাবাঘেরও দেখা মিলতে পারে। কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ মাল জংশন, সেখান থেকে টোটো বা গাড়িতে জলদাপাড়া ঘণ্টাখানেকের পথ। তবে জলদাপাড়া বা হলং বাংলোতে থাকা পর্যটকেরা এ ক্ষেত্রে আগে বুকিংয়ের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
৩) গরুমারা
জলদাপাড়া থেকে হাতি সাফারির সুযোগ না মিললে গরুমারা থেকেও বুকিং করা সম্ভব। তাই মূর্তি বা লাটাগুড়িতে থাকলে, সেখানকার পর্যটকেরা হাতি সাফারি করার সুযোগ পাবেন। ধূপঝোরা সাফারি পয়েন্ট থেকে হাতির পিঠে উঠতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বুক করতে হয় এই সব সাফারি।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]