ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। এই ঈদের খুশিকে বাড়িয়ে তুলতে অনেকেই গ্রামের বাড়ি যান। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়াই উদ্দেশ্য।
কিন্তু ঈদযাত্রায় নানা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। তাতে ঈদের আনন্দই যেন মাটি হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় বয়ে আনে কান্না।
বাড়তি মানুষ ঢাকা ছাড়ে বলে, ঈদে যানবাহনের চাপ বাড়ে কয়েকগুণ। ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। এবারের ঈদেও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে ছুটবে মানুষ। ফলে যানবাহনের চাপ বাড়বে মহাসড়কগুলোতে।
কিন্তু আপনার কিছু সচেতনতা ঈদযাত্রাকে নিরাপদ ও আনন্দময় করবে-
** ঈদের সময় বিভিন্ন চক্র, ছিনতাইকারী, মলম পার্টি ও গামছা পার্টি থেকে সাবধান থাকতে হবে।
** জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস বা ট্রেনের ছাদে যাতায়াত করবেন না।
** ফিটনেসহীন গাড়িতে ওঠা থেকে বিরত থাকবেন।
** অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাতে দেবেন না। যাত্রাপথে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
** জাল টিকিট বিক্রিকারী চক্রের প্রতারণা থেকে সাবধান থাকতে হবে।
** যাত্রাপথে অপরিচিত কারও দেওয়া খাবার বা পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
** ভাড়ার তালিকার বাইরে বাড়তি ভাড়া চাইলে প্রশাসনের সাহায্য নিন। টিকিট কালোবাজারিদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
** রেষারেষি কিংবা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালাতে দেখলে জরুরি সেবায় ফোন করুন।
** নদীপথে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ দেখলে যাত্রা থেকে বিরত থাকতে হবে।
** সময় বাঁচাতে লাফ দিয়ে পরিবহনে ওঠা যাবে না।
** অতিরিক্ত যাত্রীবাহী লঞ্চে যাত্রা করা থেকে বিরত থাকুন।
** ঝুঁকি নিয়ে যে কোনো যানবাহনে চড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঈদযাত্রায় সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সচেতনতার সঙ্গে মোকাবিল করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। শুভ হোক আনন্দ যাত্রা। ঈদ বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]