বিশ্বের সব দেশেই কম বেশি কেইভ বা গুহা দেখা যায়। কিন্তু আকার বা বৈচিত্রময় গঠনশৈলির কারণে কিছু কিছু গুহা আমাদের অবাক করে, বিস্মিত করে। সেই সাথে জানলে অবাক হতে হয় বিশ্বে এখনো অনেক গুহা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে খুব কমই জানতে পেরেছে মানুষ।
ম্যামথ কেইভ ন্যাশনাল পার্ক বা ম্যামথ ফ্লিন্ট রিজ কেইভ সিস্টেমটি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে। যা বিশ্বের দীর্ঘতম গুহা হিসাবেও পরিচিত।
যদিও এই গুহাটি ম্যামথ গুহা নামে পরিচিত কিন্তু এর ভেতর এখন পর্যন্ত কোনো ম্যামথের ফসিল পাওয়া যায়নি বা ম্যামথের সাথে এর সম্পর্ক নেই একেবারেই। ১৯৪১ সালে এই গুহাটিকে দেশটির ন্যাশনাল পার্কে রুপ দেয়া হয়েছিলো। মিসিসিপিয়ান যুগে তৈরি হওয়া এই গুহাটি আক্ষরিক অর্থেই বিশাল।
এখন পর্যন্ত এই গুহার ভেতর ৬৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সুরঙ্গ পথের ম্যাপ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। বিরল প্রজাতির বাদুর ছাড়াও কেইভ স্যালামান্ডর এবং দুই প্রজাতির চোখবিহীন মাছের বাস রয়েছে এই গুহার গভীরে।
‘স্ট্যালাকটাইট’ এবং ‘স্ট্যালাগমাইট’-এ সাজানো এই গুহার বিশেষত্ব হল মাটির নীচে প্রায় ৪০০ মাইল লম্বা সুড়ঙ্গ।
আজ থেকে প্রায় হাজার বছর আগে আদিম মানুষের বসবাস ছিল এই গুহার মধ্যে। পৃথিবীর পৃষ্ঠে প্রায় ৫৩ হাজার একর অঞ্চল জুড়ে গুহার মধ্যেই রয়েছে এই ‘ল্যান্ডস্কেপ’।
গুহার মধ্যেই রয়েছে আস্ত একটি জঙ্গল, নদী-উপত্যকা। চুনাপাথরের তৈরি এই গুহার মধ্যে রয়েছে গিরিখাত, নানা মাপের ঘর, জলপ্রপাত, বিশালাকার গম্বুজ— আরও কত কী! দেখলে মনে হয়, মাটির তলায় রয়েছে যেন আস্ত একটি পৃথিবী।
দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকের কাছে সে কারণেই বিশাল এই গুহাটি আকর্ষণের কেন্দ্রে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]