পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের চাকরি থেকে ছাঁটাই বন্ধ ও পুনঃনিয়োগ পদ্ধতি চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার ঐক্য পরিষদের নেতারা।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সংগঠনটির নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার মণ্ডল জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী কমিটির ১৫ তম সভায় একজন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার এর বিপরীতে ৪ হাজার রিডিং গ্রহণ ও ৫ হাজার বিল বিতরণের দফতর আদেশ জারি করে। যা পূর্বে ১৫০০ থেকে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৭০০ এবং বর্তমানে ২ হাজার করা হয়েছে। কিন্তু এবার পূর্বের সাথে সামঞ্জস্য না রেখে একবারেই দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। যা অমানবিক। কতিপয় অসাধু সিনিয়র ও জুনিয়র জিএমদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এই বর্ধিত কাজ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সকল মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারের চুক্তি নবায়ন ও অন্য সমিতিতে অভিজ্ঞতার আলোকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে নতুনভাবে অনভিজ্ঞ লোক নিয়োগের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এতে সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের ৭৮টি সমিতির প্রায় ১২ হাজার ৫০০ লোককে চাকরি হতে অপসারণের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে ৩ হাজার জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। যাদের বয়স ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে। আরও সাড়ে ৭ হাজার মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার কর্ম হারানোর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু চাকরির নিয়োগ বিধি অনুযায়ী এক সমিতিতে ৯ বছর করে ৫৫ বছর কাজ করতে পারবেন একজন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার। অথচ যাদের চাকরি থেকে ছাটাই করা হয়েছে তাদের চাকরির বয়স ৯ বছরের কম। আবার যে সাড়ে ৭০০০ মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার চাকরি হারানোর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে তাদের চাকরির বয়সও ৯ বছরের নিচে। তাই এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংগঠনের নেতারা বলেন, ৯ বছরের জন্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার নতুন পে-স্কেল ঘোষণার ফলে আমাদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়ায় সমিতির লস ও খরচ কমানোর কথা বলে নবায়নযোগ্য চুক্তিভিত্তিক এ নিয়োগ বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি চাকরির চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ ৯ বছর পূর্ণ না হলেও গত জুলাই থেকে ছাঁটাই করা শুরু হয়েছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এসব কর্মচারীসহ তাদের পরিবার। এ অবস্থায় আমরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি চালু রাখা এবং মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের চাকরি থেকে ছাটাই না করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেতারা জানান, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাওসহ কর্মবিরতি পালন করা হবে। প্রয়োজনে সারাদেশ অচল করে দেয়া হবে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম।
সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনটির সভাপতি আমজাদ হোসেন, সহসভাপতি কেএম মাসুম বিল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, কামাল হোসেন, কমল দাস, জাহাঙ্গীর আলম, বিকাশ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
বিবার্তা/বিপ্লব/পলাশ/রয়েল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]