বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ ‘মানুষ খুন’: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:০২
বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ ‘মানুষ খুন’: প্রধানমন্ত্রী
খুলনা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মানুষ খুন বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে অগ্নি সন্ত্রাস করছে। তারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে, অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন দিয়েছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এদের মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে বলে আমি মনে করি না।


১৩ নভেম্বর, সোমবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য দেন।


তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট মানুষের জন্য কাজ করে না। একজন তো এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে বলেছিল আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না। এখনতো লন্ডনে বসে বসে যত টাকা দুর্নীতি ও চুরি করেছিল, সেই টাকা খরচ করে আর আগুন জ্বালিয়ে মানুষ পোড়ায়।


আগুন সন্ত্রাসীদের কঠোর হাতে প্রতিহত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন করা আর বিএনপি-জামায়াতের লক্ষ্য ধ্বংস করা।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন এই ২৮ অক্টোবর কীভাবে পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বেহুঁশ হয়ে গেছে তাও ছাড়েনি। তারপর কুপিয়েছে। ৪৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। সাংবাদিকদের তারা পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ স্টেশনে ঢুকে হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে।


গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য কোন সরকারের আমলে বাড়েনি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য যা কিছু করার আমিই করেছি। আমি ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় ছিলাম তাদের বেতন ছিল ৮০০ টাকা। আমিই তাদের বেতন চার বার বৃদ্ধি করেছি। কোন সরকার তা বাড়িয়েছে? এরশাদ সরকার ও খালেদা জিয়ার সরকার গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য কিছু করেনি। গার্মেন্ট শ্রমিকদের এরপরও আন্দোলন কেনো? এ ভাঙচুর কেনো? যারা এ ভাঙচুরের জন্য দায়ী, তাদের খুঁজে বের করা হবে।


দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের তরুণরা বসে থাকবে কেন? তারা চাকরির পেছনে দৌড়াবে কেন? আমরা তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারা নিজেরাই কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে দেশের মানুষ বারবার ভোট দিয়েছে। আমি দেশের জন্য কাজ করি। আমার আর কিছুই চাওয়া-পাওয়ার নেই। একজন মানুষ আপনজন হারানোর শোক সইতে পারে না। আমি আমার ছোট বোনকে ছাড়া মা বাবা ও ভাইদের হারিয়েছি। আমার বিচার চাওয়ারও এখতিয়ার ছিল না। আমার মা ও বাবাকে হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এরশাদ হত্যাকারীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। আর খালেদা জিয়া তাদের সংসদে নিয়ে বসিয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। আমি দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ সাল ২০১৪, ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বহাল আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com